সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্ডিন্যান্স জারির পর ৭২ ঘণ্টাও কাটেনি। এরই মধ্যে বিতর্কিত ইডি আধিকারিক সঞ্জয় কুমার মিশ্রর (Sanjay Kumar Mishra) চাকরির মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারই ইডির ডিরেক্টর পদে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল তাঁর। গতবছরও একইভাবে সঞ্জয়কুমার মিশ্রর মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্র। সেসময় এ নিয়ে বিতর্কও হয়।
রবিবারই কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করা হয়, সিবিআই বা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টরদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর পর্যন্ত করা যেতে পারে। সিবিআই (CBI) এবং ইডির (ED) আধিকারিকদের নির্ধারিত দু’বছরের মেয়াদ শেষে তা আরও একবছর করে তিনবার বাড়ানো যেতে পারে। সেসময় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, সঞ্জয় মিশ্রর চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই অধ্যাদেশ জারি করেছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘পাঁচতারা হোটেলে বসে কৃষকদের গালমন্দ নয়’, দিল্লি দূষণ প্রসঙ্গে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
আসলে সম্প্রতি সঞ্জয়কুমার মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ২০১৮ সালে প্রথমবার সঞ্জয়কে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করে মোদি সরকার। গত বছর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু গতবছর নভেম্বর মাসে সঞ্জয় মিশ্রর চাকরির মেয়াদ একবছরের জন্য বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। কেন এভাবে মেয়াদ বাড়ানো হল সঞ্জয়কুমার মিশ্রর? প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। জবাবে কেন্দ্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত শেষ করতেই মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতও (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনার ক্ষেত্রে সিবিআই বা ইডির আধিকারিকদের মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে। শীর্ষ আদালতের সেই রায়ের উপর ভর করেই কেন্দ্র অধ্যাদেশ জারি করে। তারপরই ফের সঞ্জয় মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো হল।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে আটক ৪ তৃণমূল সমর্থক, আগরতলায় বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশির অভিযোগ]
প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বহুদিন আগে থেকেই ইডি এবং সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা। হঠাৎ এই দুই সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের মেয়াদ বৃদ্ধির অধ্যাদেশ এবং ইডির আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে আজই ইডি এবং সিবিআই কর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টেরই আগের দেওয়া রায়ের পরিপন্থী।