সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত সফরে এসে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশ্বস্ত করলেন ভারতবিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এই সফরে একাধিক চুক্তিও সাক্ষর হয় দুই দেশের।
সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, "দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছি আমাদের জমি এমন কোনওভাবে ব্যবহার করতে দেব না যা ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী।" জানা যাচ্ছে, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতায় এসেছে বাম জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন জনতা বিমুক্তি পেরুমনা দলের প্রধান অনুরা। শুরু থেকেই চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত অনুরার দল। শুধু তাই নয়, আশির দশকে ভারতকে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছিল এই দলের প্রতিষ্ঠাতা রোহন উইজেবরা। এহেন দলের শীর্ষ নেতা তথা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এহেন বার্তা ভারতের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির।
কারণ, গত দু'বছরে শ্রীলঙ্কায় আনাগোনা বেড়েছে চিনা গুপ্তচর জাহাজের। ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর দখল করেছে চিন। সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে ড্রাগন দেশের নৌবাহিনীর নজরদারি জাহাজ। ফলে শ্রীলঙ্কায় চিনা নৌবহরের দাপট বাড়ায় তা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের আশ্বাস কিছুটা স্বস্তি দিলেও উদ্বেগ একেবারে কাটছে না। অবশ্য অনুরার এই আশ্বাসবার্তা এই প্রথমবার নয়, তিনি রাষ্ট্রপতি পদে বসার কিছুদিন পর কলম্বো সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তখন অনুরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন, 'ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।'