সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুকে দিল্লি দরবারে তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা বিজেপির। এ পর্যন্ত ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ সরব না হলেও শুক্রবার সকালে দলের সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন সুকান্ত মজুমদার, সম্বিত পাত্ররা। পালটা পথে নেমেছে শাসকদলও। তৃণমূলের অস্ত্র অবশ্য 'ভুয়ো ভোটার।'
শুক্রবার সংসদেও চাকরি বাতিল ইস্যু তোলার চেষ্টা করে বিজেপি। দলের রাজ্যসভার সাংসদ লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী বাংলায় দুর্নীতি ইস্যু তুলতে চেয়েছিলেন। তবে তৃণমূল সাংসদদের সমবেত প্রতিবাদে সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে সম্বিত পাত্র সুকান্ত মজুমদাররা দাবি তুললেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং তৃণমূলের দলীয় তহবিল থেকে চাকরিহারাদের জরিমানা দেওয়া হোক।
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই শিক্ষকদের চাকরি বাঁচাতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই যোগ্যদের চাকরি গিয়েছে। সবাই তো টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। দেখলাম, শিক্ষকরা কাঁদছিলেন। ইউনিভার্সিটি টপার, গোল্ড মেডালিস্টরা কাঁদছিলেন। এর জন্য দোষী একজনই- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” সম্বিত পাত্র আবার দাবি করলেন, বাংলার এই দুর্নীতি গোটা দেশের অন্যতম বড় নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম।
এদিকে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে এদিন ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদরা যৌথভাবে মিছিল করে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান। নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে সংসদ পর্যন্তও মিছিল করে যান তাঁরা। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, আধার কার্ড-ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ কমিশন যাচাই না করেই ভুয়ো ভোটার কার্ড আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের অনুমতি দিচ্ছে। ফলে ভুয়ো ভোটার সংখ্যা কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে। এই নিয়ে সংসদেও আলোচনা চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু আলোচনার অনুমতি দেয়নি সরকার। যার জেরে এদিন সংসদেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।