সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই (Netaji Subhas Chandra Bose) অবিভক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ ভারতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ সরকার। শুক্রবার এভাবেই নেতাজি প্রশস্তি শোনা গেল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) মুখে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই চেষ্টা করতে শুরু করেন যেন নেতাজি তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা পান। নাম না করলেও তিনি যে কংগ্রেসকেই কটাক্ষ করেছেন তা স্পষ্ট।
রাজনাথের কথায়, ”একটা সময় ছিল যখন স্বাধীন ভারতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানকে হয় ইচ্ছাকৃত এড়িয়ে যাওয়া হত নয়তো যথাযথ সম্মান দেওয়া হত না। আর এই প্রবণতা এতদূর পর্যন্ত ছিল যে, নেতাজি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ২০১৪ সালে যখন মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তখন থেকেই তিনি সুভাষ বসুকে সেই সম্মান দিতে শুরু করেন যা তাঁর প্রাপ্য।”
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষ করুক রাশিয়ায়, ‘বন্ধু’ ভারতকে প্রস্তাব মস্কোর]
রাজনাথের আরও দাবি, তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতাজির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবং তাঁদের আমলে নেতাজিকে নিয়ে ৩০০টির বেশি গোপন নথি প্রকাশ্যে এনেছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে যে দেশের সাধারণ মানুষ অনেক তথ্যই জানেন না তা মেনে নেন রাজনাথ। তিনি বলেছেন, ”অনেকের কাছেই তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক। কিন্তু অনেকেই এটা জানেন না, নেতাজিই অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।”
উল্লেখ্য, রাজনাথ নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশের কথা বললেও সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে ফৈজাবাদের গুমনামি বাবা বা ভগবানজির বিস্ময়কর মিল নিয়ে চর্চা আজও জারি রয়েছে। সম্প্রতি গুমনামি বাবার (Gumnami Baba) ডিএনএ-র নির্যাস প্রকাশ্যে জানাতে অস্বীকার করেছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, এই ইলেকট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট সর্বসমক্ষে জানালে বিঘ্নিত হতে পারে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বদলে যেতে পারে রাজনীতির রসায়ন। সম্পর্ক খারাপ হবে বহু দেশের সঙ্গে! কেন্দ্রীয় সংস্থার এহেন ‘প্রত্যাখ্যান’ নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।