সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগের জট কাটাতে পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। প্রাক্তন বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে সরকারকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এই নির্দেশে খুশি ব্রাত্য বসু। "গণতন্ত্রের জয় হয়েছে", উল্লেখ করে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাক্তন বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে চেয়ারম্যান করতে হবে। কমিটিতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেই চেয়ারম্যান প্রয়োজনে আরও চার বিশেষজ্ঞকে রাখতে পারেন কমিটিতে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একসঙ্গে কমিটি গঠন করা যেতে পারে। আবার আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সার্চ কমিটিও গঠন করতে পারেন চেয়ারম্যান। কমিটি প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য তিনজনের নাম বাছাই করবে। ওই তিনজনের নাম যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেখান থেকে 'অর্ডার অফ প্রেফারেন্স' বাছাই করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর সেই তালিকা যাবে রাজ্যপালের কাছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩ মাসের মধ্যে সরকারকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়ার খরচ বহন করবে রাজ্যই।
[আরও পড়ুন: ‘বয়স কমছে’, জন্মদিনে লন্ডনে সেলিব্রেশন সস্ত্রীক সৌরভের, মহারাজকীয় শুভেচ্ছা কেকেআরেরও]
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ঠান্ডা লড়াই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে একতরফা উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। এর পর একাধিকবার শুনানিতে মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনাও হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে রাজভবনে গিয়ে এই বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও জটিলতা রয়েছে।
অতীতের নানা শুনানিতে কখনও কখনও আদালতে ভর্ৎসনার শিকারও হন রাজ্যপালের আইনজীবী। আবার কখনও বলা হয়েছে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে নিতে। তবে এবার একেবারে ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। "গণতন্ত্রের জয় হয়েছে", উল্লেখ করে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি।