সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষা চালানো আপাতত স্থগিত। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। উপাসনাস্থল আইনের বেশ কিছু ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে অন্যতম বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই আবেদনের শুনানি শুরু করেই এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে তার বিরুপ প্রভাব ভারতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সেই আবহে শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
জ্ঞানবাপী, শাহি ইদগাহ-সহ একাধিক মসজিদে আদালতের নির্দেশে চলছে সমীক্ষা। গত মাসে সম্ভলের একটি মসজিদে সমীক্ষা চলাকালীন ধুন্ধুমার বেধে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলের আবেদন নিয়ে শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি চলবে।
বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সমস্ত ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। উপাসনাস্থলে সমীক্ষা নিয়ে কোনও আদালত কোনও নির্দেশ দিতে পারবে না। সমীক্ষা চেয়ে নতুন করে কোনও মামলা দায়ের হলেও তার শুনানি হবে না কোনও আদালতে। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই নির্দেশ।
প্রায় চার বছর আগে উপাসনাস্থল আইন বদলের পিটিশন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আদালতের কাছে তাঁদের ক্ষোভ জানাতে পারছেন না। তাই ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদল করতে হবে। সেই সময়ে কেন্দ্রের মতামতও চায় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গোটা বিষয়টিতে কেন্দ্র একাধিকবার সময় চেয়েছে। শেষ পর্যন্ত জবাব দেয়নি কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার ফের এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টও এই পিটিশন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না।