সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসেরও বেশি সময় তিনি অনশনে। ক্রমশ ভেঙে পড়ছে শরীর। অথচ চিকিৎসাগ্রহণে নারাজ পাঞ্জাবের কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ধালেওয়াল। শেষে হস্তক্ষেপ করতে হল সুপ্রিম কোর্টকে। যেভাবেই হোক ওই কৃষক নেতাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা'র (নন পলিটিক্যাল) প্রধান জগজিৎ সিং ধালেওয়াল। তাঁর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে অভিযান করেছেন কৃষকরা। এমনকী সংসদ ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল। তাতেও কেন্দ্র কৃষকদের পাঁচ দফা দাবি মানেনি। এমনকী সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনাও শুরু হয়নি। শেষমেশ ধালেওয়াল বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।
ইতিমধ্যেই প্রায় একমাস অনশন করেছেন তিনি। এর মধ্যে পাঞ্জাব সরকারের তরফে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সাফ বলছে, যেভাবেই হোক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই কৃষকনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য রাজি করাতে হবে। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, "হয়তো ওনাকে কেউ চিকিৎসা না নেওয়ার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন। তাঁরা কি ওঁর জীবনের দায় নেবে?" সুপ্রিম কোর্ট বলছে, দরকার পড়লে কেন্দ্রের থেকে সহায়তা নিক পাঞ্জাব সরকার। কিন্তু যে ভাবেই হোক ওই কৃষক নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ডেডলাইন ৩১ ডিসেম্বর।
কৃষকদের তরফে যে ৫ দফা দাবি তোলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পুরনো ভূমি অধিগ্রহণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১০ শতাংশ প্লট এবং ৬৪.৭ শতাংশ বর্ধিত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের পর অধিগ্রহণ করা জমির জন্য বাজারমূল্যের চার গুণ ক্ষতিপূরণ এবং ২০ শতাংশ প্লট দিতে হবে। এর পাশাপাশি সকল ভূমিহীন ও ভূমিহীন কৃষকের সন্তানদেরও কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের সুবিধা দিতে হবে। এবং সর্বোপরি আইন এনে এমএসপির গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে হবে। সেই দাবি আদায়েই অনশনে ওই কৃষক নেতা।