সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগ্য সম্মান দেওয়া তো দূর। প্রয়াণের পরও মনমোহন সিংকে অপমান করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিস্ফোরক অভিযোগ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁর বক্তব্য, যেভাবে নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল, সেটা তাঁর পক্ষে অপমানজনক।
মনমোহনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরই সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো বিস্ফোরক পোস্ট করলেন রাহুল। বিরোধী দলনেতা বললেন, 'মনমোহন সিংহ সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থল’ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু যে ভাবে মোদি সরকার তাঁর শেষকৃত্য অধিকৃত সমাধিস্থলে না করে নিগমবোধ শ্মশানে করল সেটা অপমানজনক।' রাহুলের দাবি, 'এর আগে আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য নিগমবোধ শ্মশানে হয়নি। স্মৃতিসৌধ বা অন্ত্যেষ্টিস্থলেই সব প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হয়, যাতে সাধারণ নাগরিকরা সহজে দর্শন করতে পারেন।"
রাহুলের সাফ কথা, "মনমোহন সিং সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট ‘সমাধিস্থল’ পাওয়ার যোগ্য। এটুকু সম্মান সরকার দেখাতে পারত। নিগমবোধ শ্মশানে শেষকৃত্য করে দেশের প্রথম শিখ প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছে মোদি সরকার।" বস্তুত, মনমোহনের শেষকৃত্যের স্থল এবং সমাধি নিয়ে শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি ছিল, অন্য প্রধানমন্ত্রীদের মতো যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশে কোথাও শেষকৃত্য হোক। সেখানেই মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরি হোক।
শুরুতে কেন্দ্র মনমোহনের স্মৃতিসৌধ করা নিয়ে কোনওরকম ঘোষণা করেনি। তাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে দাবি করেন, রাজঘাটের আশেপাশে কোথাও জমি নির্দিষ্ট করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সমাধিস্থল তৈরি হোক। শুক্রবার গভীর রাতে একপ্রকার চাপে পড়ে সেই দাবি মেনে নেয় অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু যেখানে স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষকৃত্য হয়েছে নিগমবোধ ঘাটে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী।