সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছরই আরও ২০টি চিতার আগমন হতে পারে ভারতে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের সহায়তায় ২০২৫ সালে আরও ২০টি চিতা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনতে চাইছে মধ্যপ্রদেশের বন দপ্তর। তবে এবার কুনো জাতীয় উদ্যানে সেগুলিকে ছাড়া হবে না। আফ্রিকার ওই চিতার জন্য নতুন ঠিকানা জোগাড় করা হচ্ছে।
এবার চিতাগুলি ছাড়া হবে মধ্যপ্রদেশে গান্ধীসাগর জাতীয় উদ্যানে। সেজন্য ওই জাতীয় উদ্যানের একাংশকে চিতাদের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে। চিতাগুলির খাবারের জন্য ইতিমধ্যেই চিতল হরিণের দল। ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে চিতাদের মূল আবাসস্থল। সঙ্গে থাকবে ২,৫০০ বর্গকিলোমিটার ‘বাফার’ জোন। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কুনো থেকেই একটি চিতা এবং তার দুই শাবককে আনা হবে গান্ধীসাগর জাতীয় উদ্যানে। ওই পরিবেশে তারা মানিয়ে নিতে পারবে কিনা দেখা হবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের জঙ্গলে পুনরায় চিতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রকল্প অনুযায়ী, ২০২২-২৩-এর মধ্যে আফ্রিকার নামিবিয়া-সহ নানা দেশ থেকে মোট ২০টি চিতাকে ভারতে আনা হয়েছিল। ধুমধাম করে সেই চিতাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদেশের মাটিতে ১২টি চিতাশাবকেরও জন্ম হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে ১১টি চিতা। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে বন দপ্তর। এই অবস্থায় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে বন দপ্তর এবং চিতা স্টিয়ারিং কমিটি। বিতর্ক দানা বাঁধে চিতার গলায় থাকা রেডিও কলার নিয়েও। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টও।
তবে সরকার তাতে দমছে না। এবার আরও ২০টি চিতা আনা হবে। এবারও চিতাগুলি আনা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই। কেন্দ্রের আশা এবার কুনোর থেকে ভালো পরিবেশ তৈরি করে গান্ধীসাগরকে চিতাদের বসবাসের উপযুক্ত করা হচ্ছে।