সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে আর্থিক বেনিয়মের মামলায় অভিযুক্তের জামিন ঠেকাতে গিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ধমক খেল কেন্দ্রীয় সরকারও। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মনে করছে, আর্থিক বেনিয়মের মামলায় যেনতেন উপায়ে অভিযুক্তের জামিন আটকানোর চেষ্টা করে ইডি এবং কেন্দ্র। এমনকী জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে এমন কিছু কথাও বলা হয় যা আর্থিক তছরুপ দমন আইন (পিএমএলএ)-এর পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকারকে দেখে মনে হয় যেন তারা বিশ্বাস করে— পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ধৃতের কোনও ভাবেই জামিন পাওয়া উচিত নয়।
আর্থিক বেনিয়মের মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক অভিযুক্তের জামিনের আর্জির শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁঞার বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানির সময়েই কেন্দ্র এবং ইডির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনও অভিযুক্ত মহিলা বা অসুস্থ হলে, কিংবা বয়স ১৬ বছরের নিচে হলে, আদালত মনে করলে জামিন দিতে পারে। পিএমএলএ-তে অভিযুক্তদের জামিনের ক্ষেত্রে যে কড়া নিয়ম রয়েছে, তা-ও এ ক্ষেত্রে কার্যকর হয় না। তবে গত মাসে মামলার শুনানির সময় ইডির আইনজীবী উলটো বক্তব্য পেশ করেন।
সে দিন ইডির তরফে এজলাসে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সত্যদর্শী সঞ্জয়। যদিও বুধবার শীর্ষ আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, জামিনের ক্ষেত্রে ওই বিধি মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবীর ওই ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয় আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন্দ্রের আইনজীবী যদি আইনের ধারার বিষয়ে ওয়াকিবহাল না থাকেন, তা হলে তিনি সওয়াল করেন কেন? মেহতা জানান, কোথাও কোনও যোগাযোগের অভাব ছিল। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
