সোমনাথ রায়: ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ঘোষণা করেছিলেন, পরদিন থেকে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল বলে গণ্য করা হবে (Demonetisation)। কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। বুধবার পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলাগুলির শুনানি হবে।
মামলাকারীদের প্রশ্ন, নোটবন্দির সিদ্ধান্ত কি আদৌ সাংবিধানিক দিক দিয়ে বৈধ ছিল? বুধবার বিচারপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ এবিষয়ে সমস্ত বক্তব্য শুনবে। তবে মনে করা হচ্ছে, কালকের পর শীর্ষ আদালত একটি তারিখ ঘোষণা করবে, যেদিন বিস্তারিত শুনানি হবে।
[আরও পড়ুন: ড্রাগ, মদ, মধুচক্র সবই মিলত রিসর্টে! ক্রমেই ফাঁস হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার ছেলের কীর্তি]
দেখতে প্রায় ৬ বছর হতে চলল নোটবন্দির। সকলকে চমকে দিয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বাতিল হয়ে যাবে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট। অকস্মাৎ এমন ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জানা যায়, ওই পদক্ষেপের ফলে ৮৬ শতাংশ নোট বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বাজারে এসেছিল ২ হাজার টাকার নোট। এটিএমের বাইরে দীর্ঘ লাইন সেই সময় এক অত্যন্ত স্বাভাবিক দৃশ্য হয়ে ওঠে। সব মিলিয়ে আকস্মিক ওই পদক্ষেপে আমজনতাকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল।
বিরোধীরা কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল। গত বছর দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং (Manmohan Singh) দাবি করেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের উপর বিমুদ্রাকরণের ছাপ এখন স্পষ্ট এবং ক্ষত এখন দগদগে। এমনকী, করোনা পরবর্তী সময়েও দেশে কর্মসংস্থানের বেহাল অবস্থার জন্য নোটবন্দিই।