সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্যে গুরুগ্রামের (Gurugram) নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা। ১৩ বছরের পরিচারিকাকে মারধর থেকে কুকুরের কামড় খাইয়ে ঘরে আটকে রাখার মতো অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠল মালকিন ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এমনকী, কিশোরীকে নগ্ন করে তার ভিডিও করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। তাদের চেষ্টায় অবশেষে কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের বাসিন্দা ওই কিশোরীর মা জানিয়েছেন গত জুন মাসে মেয়েকে শশী শর্মা নামে এক মহিলার বাড়িতে কাজে পাঠিয়েছিলেন। শশী শর্মার বাড়ি গুরুগ্রামের সেক্টর ৫৭-এ। মাসে মাসে ৯ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দুমাস সব ঠিকঠাক চলছিল। নিয়মিত বেতন পাঠাতেন শশীদেবীরা। তার পরই সমস্যার সূত্রপাত। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলে দেখা করতে দেওয়া হত না। এমনকী, ফোনেও কথা বলতে দেওয়া হত না। তাতেই সন্দেহ হয় কিশোরীর পরিবারের। শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে শনিবার রাতে মেয়েকে উদ্ধার করেছেন মা। শশী শর্মার বাড়িতে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল কিশোরীকে। সেলোটেপ দিয়ে মুখ আটকে রাখা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: চাকায় আর কাঁটা নয়, বেআইনি পার্কিং ঠেকাতে পুরসভার হাতিয়ার নতুন অ্যাপ]
কিশোরীকে উদ্ধারের পর তার বয়ান শোনার পর চমকে উঠেছে সেক্টর ৫১-এর মহিলা থানার পুলিশ কর্মীরা। জানা গিয়েছে, কিশোরীকে প্রায়শই লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করতেন মালকিন। তার দুই ছেলে মেয়েটিকে নগ্ন করে অশ্লীল ভিডিও রেকর্ড করত। এমনকী, গোপনাঙ্গ স্পর্শ করত তারা। শুধু তাই নয়, বাড়ির কুকুরকে দিয়ে কামড়ানো হয়েছিল মেয়েটিকে। অভিযোগ, ৪৮ ঘণ্টা মাত্র একবার খেতে দেওয়া হত। সে যাতে কাউকে কিছু না জানাতে পারে তাই মুখ সেলোটেপ দিয়ে আটকে রাখা হত। শেষ বন্দি করা হয়েছিল একটি ঘরে। পরে পুলিশের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।