হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: সনাতন ধর্ম বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সংস্কৃতি। ধর্ম ও বর্ণের ঊর্ধ্বে। হাজার হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। কুম্ভমেলার মতো সংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানগুলিও সুপ্রাচীন। লখনউতে একটি অনুষ্ঠানে বললেন যোগী আদিত্যনাথ। এইসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে যোগী বলেন, বিদেশ থেকে টাকা নিয়ে যারা সমাজে বিভেদ তৈরি করে, তারাই দেশদ্রোহী। এরাই আমাদের বদনাম করার ষড়যন্ত্র করছে।
লখনউয়ের অনুষ্ঠানে মহাকুম্ভের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দেবতা ও অসুরদের মধ্যে যুদ্ধের পরে ভূভারতের চার জায়গায় অমৃতের ফোটা পড়েছিল। সেগুলি হল প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জ্বয়িনী এবং নাসিক। এই স্থানগুলিতে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হওয়ায় জ্ঞান, চেতনা, সামাজিক দিকনির্দেশ মেলে। ভারতের জাতীয় ঐক্যের প্রতিক মহাকুম্ভ। মেলায় একত্রিত হওয়া ঋষিরা সমসময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটান।
প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।