সুব্রত বিশ্বাস: অযোধ্যায় (Ayodhya) রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার মুহূর্তে কামাখ্যা মন্দির জুড়ে হাজার প্রদীপ জ্বালবে কামাখ্যা দেবালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, প্রাণপ্রতিষ্ঠার শুভ মুহূর্তে মন্দির চত্বরে সমস্ত দেবালয়ে বিশেষ পূজার্চনা শুরু করবেন পূজারীরা। মন্দিরগুলো সেজে উঠবে আলো ও ফুলের মালায়। মন্দিরের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যাবে অযোধ্যার রামমন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার লাইভ টেলিকাস্ট।
তন্ত্রক্ষেত্র মা কামাখ্যা মন্দিরে (Kamakhya Temple) রামমন্দির সূচনাতে কেন এই সাজ সাজ রব? কামাখ্যা দেবালয়ের সভাপতি কবীন্দ্র প্রসাদ শর্মার কথায়, সনাতন ধর্মের যে কোনও মন্দির প্রতিষ্ঠা, কাজকর্মে সহযোগিতা করবে দেবালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তিনি কামাখ্যা মন্দিরের সঙ্গে রামমন্দিরের সম্পর্ক স্থাপনের কথাও জানান। তিনি বলেন, “রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা মা কামাখ্যার পবিত্র মাটি ও জল নিয়ে সেখানে যান। এবার মাস খানেক আগেও তাঁরা ফের মাটি ও জল নিয়ে যান। সেখানকার সূচনা পর্বে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছি ও যাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভেঙে পড়া বিমানটি ভারতীয় নয়, জানাল DGCA]
স্থানীয় কাউন্সিলর সুধন্য মালাকার জানিয়েছেন, রামমন্দির (Ram Mandir Inauguration) প্রতিষ্ঠার পুণ্য লগ্নকে সাক্ষী রেখে মন্দির চত্বরে ওইদিন বিশেষ অনুষ্ঠান, যাত্রী সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে এখন সাজ সাজ রব অসম জুড়ে। অসম বিজেপির মিডিয়া পার্সন ধ্রুবজ্যোতি মরল জানিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি অসমের ৬৪ জন বিধায়ক ও কাউন্সিলর অযোধ্যায় থাকবেন। তাঁরা প্রত্যেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন সদস্য নিয়ে সেখানে পৌঁছবেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করেছেন অনেকেই। বেশ কয়েকটি বিশেষ ট্রেনও গুয়াহাটি থেকে যাচ্ছে বলে এনএফ রেল জানিয়েছে। গুয়াহাটি শহর-সহ জেলার বাজারগুলিতে প্রতিটি দোকান ও ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে রামলালার ঝান্ডা, প্রদীপ-সহ উপাচারের নানা সামগ্রী। যা ছড়িয়ে পড়েছে মেঘালয়ের বিভিন্ন জায়গায়। শিলং থেকে চেরাপুঞ্জির নানা দোকানে ঝুলছে রাম ও হনুমানের প্রতীকী ঝান্ডা।