সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শনিবারই একই পরিবারের ৫ জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। এবার যোগীরই খাস তালুক গোরক্ষপুরে (Gorakhpur) একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে নৃশংস ভাবে হত্যার (Murder) ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য যোগীরাজ্যে। জেলার খোরবারে এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের ২০ বছরের তরুণী কন্যাকে খুন করল আততায়ীরা। পুলিশ অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।
পুলিশের সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট বিপিন টাডা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম অলোক পাসওয়ান। কেন সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল? এপ্রসঙ্গে বিপিন জানাচ্ছেন, ”অলোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আপাতত জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এরপরই মেয়েটি সেই সম্পর্ক থেকে সরে যায়। আর তাতেই ক্ষুব্ধ অলোক স্থির করে, ওই পরিবারের সকলকেই খুন করবে। আমরা তদন্ত করছি। আশা করা যায়, শিগগিরি পুরো বিষয়টিই পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তবে ঘটনার সময় অলোকের সঙ্গে আরও অনেকে ছিল বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজে চার হাজার কোটির মজুরি বকেয়া, কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা]
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় গামা নিশাদ (৪২ বছর), তাঁর স্ত্রী সঞ্জু নিশাদ (৩৮ বছর) ও তাঁদের কন্যা ২০ বছরের প্রীতি একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাড়ি থেকে বেরনোর পরই অলোকরা তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার হাতে বেলচা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। বাড়ি থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তিনজনের অচেতন দেহ। গামার ছেলে আচ্ছেলাল অন্য পথ দিয়ে বিয়েবাড়ি যাচ্ছিল বলে সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। গামার বড় ছেলে অন্য শহরে কর্মরত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে। টুইট করে জানানো হয়েছে, গোরক্ষপুরের খোরাবারে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেখানে বেলচা ব্যবহৃত হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।