সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) জমি দখলে মরিয়া তৃণমূল। আর তা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে। তার ফলে ত্রিপুরায় গিয়ে বারবার হামলার শিকার তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তরজা অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক ভাষণ বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের। তার পালটা গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব তৃণমূল। টুইটে এহেন উস্কানিমূলক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা কুণাল ঘোষের।
বুধবার ত্রিপুরার বিলোনিয়ায় দলীয় সভায় যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক (BJP MLA Arun Bhowmik)। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উস্কানিতে বিপ্লব দেবের সরকারের উপর আঘাত হানার চেষ্টা চলছে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করব তালিবানি কায়দায় এদের আক্রমণ করতে হবে। বিমানবন্দরে নামামাত্রই আক্রমণ করতে হবে এঁদের। প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা বিপ্লব দেবের সরকারকে রক্ষা করব। যাতে এখানে এঁরা ঘাঁটি গাড়তে না পারে।”
[আরও পড়ুন: ‘CBI-কে খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি করে রাখবেন না’, কেন্দ্রকে কটাক্ষ Madras High Court-এর]
বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে টুইটে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি লেখেন, “বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক বললেন, “তৃণমূল নেতারা এয়ারপোর্টে নামলেই তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করতে হবে।” ত্রিপুরা পুলিশ, সুয়ো মোটো মামলা হবে না? তালিবানি কায়দা! বিজেপির মানানসই ভাষা।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হোটেলে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সায়নী ঘোষ-সহ (Saayoni Ghosh) বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী। অভিযোগ, হোটেলে রীতিমতো ফতোয়া জারি করা হয়। রাজনৈতিক আলোচনায় বাধা দেওয়া হয়। চাওয়ার পরেও দেওয়া হয়নি খাবার। এমনকী দীর্ঘক্ষণ পাঁচতারা হোটেলে লোডশেডিং করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন সায়নী ঘোষ।