shono
Advertisement

নীরব-মেহুলদের ১৫ লক্ষ কোটির ঋণ মাফ! জনতার আমানত ‘নয়ছয়’ নিয়ে নির্মলাকে তোপ জহরের

১২.১০ লক্ষ কোটির হিসেব মুছেই ফেলা হয়েছে!
Posted: 01:51 PM Nov 07, 2023Updated: 01:51 PM Nov 07, 2023

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ঋণখেলাপি, ঋণ মকুবের হিসেবপত্র নিয়ে এবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jahar Sircar)। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বড়লোকদের জন্য ব্যাঙ্কের বিপুল অঙ্কের টাকা যে নয়ছয় হয়েছে, তা কেন বাজে খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে দায় সারছে কেন্দ্র? এর আগে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেও উত্তর মেলেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)। নিজের X হ্যান্ডলে এই পোস্ট করেছেন তিনি। চব্বিশের নির্বাচনের আগে যা বিজেপি বিরোধী আরেক হাতিয়ার হতে চলেছে তৃণমূলের (TMC)।

Advertisement

নীরব মোদি, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসিদের মতো ঋণখেলাপি ধনকুবেরদের কারণে দেশের অর্থভাণ্ডারে যে ব্যাপক চাপ পড়েছে, তা নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদলকে বিরোধীদের আক্রমণও স্বাভাবিক। ওই ঋণখেলাপিদের জন্য ঠিক কত টাকার ঘাটতি হয়েছে? ঋণ আদায় করতে না পেরে কেন ব্যাংকগুলিকে সেসব বাজে খরচের খাতায় নথিভুক্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হল? এসব প্রশ্ন উঠেছে। RTI-এর জবাব কেন্দ্র এড়িয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ভুরি ভুরি।

[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি কাণ্ড: তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার ইডির]

লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই বিষয়টি নিয়েই ফের সরব হল তৃণমূল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে (Nirmala Sitharaman) চিঠি লিখে সেসব হিসেব চেয়েছেন সাংসদ জহর সরকার। এ বিষয়ে তাঁর দেওয়া তথ্য নিয়ে কিছু বলতে পারেনি কেন্দ্র, এই বলে তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন অর্থমন্ত্রীকে। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাঁতের কারণে বিশেষত ‘মোদির আশীর্বাদ’ থাকায় ঋণখেলাপিরা ‘পালিয়ে পার পেয়ে গিয়েছেন’। ব্যাঙ্কের আমানত নিয়ে নয়ছয় করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ভোট দিতে পারলেন না খোদ মুখ্যমন্ত্রী! কী চলছে মিজোরামে?]

উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার এই বিষয়টিকে সামনে আনছেন এমন এক সময়, যখন ১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে উঠেছে। শাসকদলের তীব্র আন্দোলন সত্ত্বেও এখনও বাংলার কৃষক-শ্রমিকরা সেই অর্থ হাতে পাননি। তাই সঙ্গত কারণেই তাঁর সমালোচনা, গরিব মানুষদের প্রাপ্য দেওয়া হচ্ছে না, অথচ এত এত পরিমাণ অর্থ বাজে খরচের খাতায় ফেলা হচ্ছে কিংবা হিসেব থেকে তা মুছে ফেলা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার, তদন্তের মাঝেই CBI-এর কলকাতা শাখায় বড় রদবদল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement