সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্যু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, সীমান্তে বেড়া দিতে জমি দিতে অস্বীকার। সংসদে দাঁড়িয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার পালটা এল তৃণমূলের তরফেও। রাজ্যের শাসকদল বলছে, সীমান্তরক্ষার দায় পুরোপুরি কেন্দ্র সরকারের। অথচ, ভিত্তিহীন অভিযোগ করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন শাহ।

বৃহস্পতিবার লোকসভায় অভিবাসন ও বিদেশি বিল, ২০২৫-এর জবাবি ভাষণে অমিত শাহ দাবি করেন, জমি সমস্যার জেরেই বাংলায় সীমান্তে বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিকে আঙুল তুলে শাহ বলেন, "আমরা প্রায় ২২০০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দিচ্ছি, বেড়া দেওয়ার জন্য মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার এলাকা বাকি আছে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেড়ার জন্য জমি দিচ্ছে না। আমরা ১১টি চিঠি লিখেছি এবং রাজ্য আধিকারিকদের সঙ্গে সাত দফা আলোচনা করেছি, কিন্তু তারা এখনও জমি দিচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা দিয়েই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এবং রাজ্য সরকার তাদের আধার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে। আধার কার্ড পাওয়ার পর অনুপ্রবেশকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগগুলিকে তিনি ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দমদমের সাংসদ বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। সীমান্তে বেড়া লাগানোয় দেরির দায় কেন্দ্রীয় সরকারের।" সৌগতর বক্তব্য, ‘এর জন্য তারা আমাদের দোষ দিতে পারে না।’
তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকেও শাহী মন্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, 'বাংলায় অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ কিলোমিটার করেছে। সেখানে গুজরাতে ৮০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আকর্ষণীয় অগ্রাধিকার। আর বিএসএফ যখন তাদের আসল কাজ সীমান্ত নিরাপদ করতে পারছে না তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দায়ী করছেন। নিজের ভুল না শুধরে তিনি এখন দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত। দারুণ!'