নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আদানি (Adani) ইস্যুতে লাগাতার বিক্ষোভ, প্রতিবাদে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন বিরোধীরা। এ বিষয়ে সবকটি বিরোধী দলের দাবিই একটি। এর তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গঠন করতে হবে কেন্দ্রকে। সেই দাবি এখনও মেনে নেয়নি সরকার। তবে এই সংক্রান্ত দাবিতে ঐক্যমত্য হলেও আন্দোলন যেন ঠিক দানা বাঁধছে না। বিশেষত অধিবেশন কক্ষের বাইরে যে যার মতো করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মঙ্গলবার তৃণমূলকে (TMC) দেখা গেল পৃথক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। এদিন সকালে তৃণমূল সাংসদরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে, পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান দিল্লির জীবন ভারতীর সামনে। এই জীবন ভারতী LIC’র সদর দপ্তর।
গত কয়েকদিন ধরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার পতনে দেশের অর্থনীতির বাজারে সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতিকে নানা সময় নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আগেও উঠেছে। এবার তা মোক্ষম সমস্যা হয়ে দেখা দেওয়ায় হইহই বিরোধী মহলে। সংসদের বাজেট অধিবেশন যে এই ইস্যুতে তপ্ত হবে, সেই আঁচ ছিলই। হচ্ছেও তাই। আদানিদের তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটির গঠনের দাবিতে বারবার অধিবেশন অচল করে দিচ্ছেন বিরোধীরা। সোমবার এনিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকে কংগ্রেস (Congress)। তাতে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিবাদ করে কেন্দ্রের উপর চাপ জারি রাখার কৌশলে তারা একমত হলেও সংসদ অচল করার পক্ষে নন তৃণমূল সাংসদরা। অর্থাৎ আন্দোলনের পথ যে পৃথক, তা বোঝাই গিয়েছিল। তাছা ঘাসফুল শিবির পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা জেপিসি চায় না।
মঙ্গলবার তা আরও স্পষ্ট হল। এদিন সকালে নয়াদিল্লির জীবন ভারতীর সামনে পোস্টার হাতে তৃণমূল সাংসদদের দেখা গেল বিক্ষোভ শামিল হতে। ছিলেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, মৌসম বেনজির নুর, শান্তা ছেত্রীরা। হাতের পোস্টারে লেখা – ‘স্টপ এলআইসি লুট।’