মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর (Kashmir)। গুলির লড়াইয়ে নিকেশ তিন সন্ত্রাসবাদী। তাদের মধ্যে লস্করের এক শীর্ষ কমান্ডার মুদাসির পন্ডিতও রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই অপারেশনকে ভূস্বর্গে জঙ্গিদমন অভিযানে যৌথবাহিনী বড়সড় সাফল্য বলেই দাবি করা হচ্ছে।
রবিবার গভীর রাতে বারমুল্লা জেলার সোপোরে এনকাউন্টার শুরু হয়। ওই এলাকায় এক পাকিস্তানি জঙ্গি-সহ মোট তিন জেহাদি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর মিলেছিল। সূত্রের খবরের উপর ভিত্তি করে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এলাকা ঘিরে ফেলে তাঁরা। তিনজনকে আত্মসমর্পনের নির্দেশও দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা। জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর চলে গুলির লড়াই। এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও খবর। সোমবার সকালে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিন সন্ত্রাসবাদির দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি জেহাদি। অন্য আরেক জন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার মুদাসির পন্ডিত বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে যোগাসনেই আস্থা, যোগ দিবসে ‘এম যোগা’ অ্যাপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
কে এই মুদাসির? কাশ্মীর পুলিশ জানাচ্ছে, জঙ্গি সংগঠন লস্করের অন্যতম মাথা ছিল এই ব্যক্তি। সাম্প্রতিককালে কাশ্মী সংঘটিত একাধিক অপরাধে নাম জড়িয়েছিল তার। তিন পুলিশ আধিকারিক, ২ কাউন্সিলর এবং দুজন আমজনতাকে হত্যা করেছিল সে। বহুদিন ধরেই তার খোঁজ চালাচ্ছিল যৌথবাহিনী। শেষমেশ রবিবার রাতের এনকাউন্টারে খতম হয় কাশ্মীরের ত্রাস মুদাসির পন্ডিত। এ প্রসঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “সোপোর এলাকায় শান্তি ফিরবে। এই এলাকার যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে তাদের নাশকতামূলক কার্যকলাপে নিয়োগ করত মুদাসির। তার মৃত্যু যৌথবাহিনীর বড় সাফল্য।”
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে দিল্লির বস্তি এলাকায় বিনামূল্যে টিকাকরণ গৌতম গম্ভীরের]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাশ্মীরের নেতাদের সর্বদলীয় বৈঠক। এই আলোচনা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। তার আগে যৌথবাহিনীর এই অভিযান নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও সোপোরে চিরুনি তল্লাশি চলছে।