ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবসেও ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল (TMC in Tripura)। পুলিশের মদতে ঘাসফুল শিবিরের কর্মসূচি বানচালের চেষ্টার অভিযোগ। ভাঙচুর হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বাড়িঘরও কাঠগড়ায় বিজেপি। শনিবার দুপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে ‘হামলা’র খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাংসদ শান্তনু সেন এবং রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিকে রাতেই জখম তৃণমূল কর্মী শুভঙ্কর দেবকে কলকাতায় আনা হয়। তাঁকে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, “বিমানবন্দর থেকে গ্রিন করিডোর করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।” এদিকে রবিবারই ফের ত্রিপুরা যাচ্ছে জয়া দত্ত।
এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে (TMCP Foundation Day) ত্রিপুরায়ও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সেই উপলক্ষেই বনমালি রোড থেকে মিছিল বের করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। সেই মিছিলের শেষে বাঁধারঘাট এলাকায় বেশকিছু স্থানীয় মানুষজনের তৃণমূলের যোগদানের কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মুজিবর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে হাতও। শুভঙ্কর দেব নামে আরেক তৃণমূল কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এখনও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: নয়া রেজিস্ট্রেশন সিরিজ ঘোষণা কেন্দ্রের, ভিন রাজ্যে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত এখন আরও সুবিধাজনক]
হামলার কথা জানিয়ে সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, “ত্রিপুরার বারবার তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি এবং কুণাল ঘোষ ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। মনে করিয়ে দিতে চাই, এভাবে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। যেখানে-যেখানে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হবেন সেখানে আমরা ছুটে যাব। সেখানে আরও মজবুত হবে তৃণমূলের সংগঠন।”
[আরও পড়ুন: পেট থেকে বের হল রাক্ষুসে টিউমার, এক বছর পর খাবার খেলেন চৈতন্য]
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা আটকে প্রতিবাদে বসেছেন শান্তনু সেনরা। তাঁদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত উঠেছে পরিস্থিতি। সামলাতে নেমেছিল ব়্যাফ, পুলিশ।