সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দরিদ্র পড়ুয়াদের শিক্ষায় যাতে ছেদ না পড়ে, তার জন্য উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করল ত্রিপুরা (Tripura) সরকার। ঘোর বর্ষায় ত্রিপুরার ধলাই জেলার ডুম্বুর হ্রদ উপচে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে যায় আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। কার্যত আটকে পড়ে যান বাসিন্দারা। অত জল পেরিয়ে দরিদ্র পড়ুয়ারা স্কুলে পৌঁছতে পারে না। তাদের কথা ভেবেই বিনামূল্যে নৌ পরিষেবা চালু করল ত্রিপুরার শিক্ষা দপ্তর। স্কুলবাসের মতো স্কুলবোট (School Boat) চালু হল এখানে। তাতে সুবিধাই হবে পড়ুয়াদের। নিশ্চিন্তে নিখরচায় তারা বর্ষার দিনেও স্কুলে পৌঁছতে পারবে।
ত্রিপুরার ডুম্বুর লেক উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় জলাধার (Water Reservoir)। এর চারপাশে অন্তত ৪৮ টি ছোট-বড় দ্বীপ রয়েছে। রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে ধলাইয়ের এই জায়গা। একবার বর্ষায় ভেসে গেলে জলবন্দি দশা থেকে মুক্ত হতে দীর্ঘ সময় লাগে। সেসময় দ্বীপগুলি থেকে অন্যত্র যাওয়ার খরচ বিস্তর। দ্বীপগুলির অধিকাংশ বাসিন্দা জেলে সম্প্রদায়ের। আয় খুব বেশি নয়। বর্ষা মোকাবিলায় নৌকা নিয়ে যাতায়াত করার খরচ সামলানো দায় তাঁদের পক্ষে।
[আরও পড়ুন: হিন্দু যুবকের প্রেমে মুসলিম বধূর ভারতে আসার বদলা, পাক মন্দিরে রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা]
এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। দপ্তরের ডিরেক্টর চাঁদনি চন্দ্রণ জানাচ্ছেন, ডুম্বুর হ্রদ লাগোয়া এলাকার ভৌগলিক অবস্থানই এতটা জটিল যে স্কুল পড়ুয়াদের এই সময়ে কিছু করার থাকে না। দিনের পর দিন স্কুলে আসতে পারে না। এলেও খুব ঝুঁকিপূর্ণভাবে নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড়ে আসে। তাই তাদের সাহায্যার্থে বিনামূল্যে নৌ পরিষেবা চালু করা হয়েছে দপ্তরের তরফে।
[আরও পড়ুন: কনেযাত্রীতে ৫ জন বেশি কেন? ঝগড়া, মারধরে পণ্ড বউভাতের অনুষ্ঠান! আক্রান্ত কনেও]
জানা গিয়েছে, কারবুক-ডাকমুড়া গোমতিবাড়ি এসবি হাই স্কুলের পডুয়ারা এই সুবিধা পাবে। রবিবার থেকে চালু হয়ে গিয়েছে নৌ পরিষেবা। দক্ষ মাঝির নেতৃত্বে শুধুমাত্র স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই নৌকায় উঠে যাতায়াত করতে পারবে। দপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। এই প্রথম বিনামূল্যে ‘স্কুল বোট’ চালু হল।