সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) আছে উত্তরপ্রদেশেই! আতিক-আশরফ হত্যার দু’দিন পরেই প্রকাশ্য শুট আউটে মৃত্যু হয়েছে এক কলেজ ছাত্রীর। এবার নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্তেরা আগুন লাগিয়ে দিল নির্যাতিতার বাড়িতে। আগুনে ঝলসে গেল নির্যাতিতার ছ’মাসের সন্তান এবং দু’মাস বয়সের বোন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ফের অপরাধের কেন্দ্রস্থল উন্নাও।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালে। সেই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ১১ বছরের এক দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল গ্রামের পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় নাবালিকা। অভিযোগ, জেলবন্দি অবস্থায় মামলা প্রত্যাহারের জন্য নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দিতেন দুই যুবক। সম্প্রতি তাঁরা জামিনে মুক্ত হন। এরপরই নাবালিকার বাড়িতে হাজির হন। অভিযোগ, নাবালিকা এবং তাঁর মাকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। এরপর ঝুপড়ি বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেন। সেই আগুনেই ঝলসে যায় নাবালিকার ছ’মাস বয়সি পুত্র এবং দু’মাস বয়সি ছোট বোন।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক নির্বাচনে জেডিএসের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ! ভোট কাটার আশঙ্কায় হাত শিবির]
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকেই কানপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছ’মাস বয়সি পুত্রসন্তানের শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং নাবালিকার দু’মাসের ছোট বোনের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের চাপে নাবালিকার দাদু এবং কাকার সঙ্গে চরম অশান্তি হয়েছিল নির্যাতিতার মা-বাবার। দাদু এবং কাকা অভিযোগ তুলে নিতে বলে। সেই কথা না শোনায় নাবালিকার বাবার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান তাঁরা। গুরুতর জখম বাবা বর্তমানে হাসপাতাল ভরতি। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি।