সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হল দুই জেহাদি। ঘটনাটি ঘটেছে বালাকোটের (Balakot) ৬৩৮ মাদ্রাজ পোস্টে। গত কয়েক মাসে উপত্যকায় লাগাতার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে, তার মধ্যেই সেনার এই সাফল্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধেবেলা বালাকোট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে সেনাকর্মীদের নজরে পড়ে যায় ওই দুই দুষ্কৃতী। বেগতিক বুঝে সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পালটা গুলি চালান সেনাকর্মীরাও। সঙ্গে সঙ্গে নিকেশ হয় দুই জঙ্গি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সীমান্তের ওপার থেকে এপারের জেহাদি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু সেনার নজরে পড়ে যাওয়ায় সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সেনা সূত্রের খবর, ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আপত্তি মানলেন না নীতীশ, জাতপাতের ভিত্তিতেই জনগণনা শুরু বিহারে]
উল্লেখ্য, গত রবিবারই কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও রাজৌরিতে রবিবার জোড়া হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। তাতে মোট ৫ নিরীহ হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু হয়। প্রথম হামলাটি হয় শ্রীনগরে (Srinagar)। সেখানে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। এর পরপরই রাজৌরির (Rajouri) ডাংরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা চলে। ভর সন্ধেবেলা সেখানে হানা দেয় ২ বন্দুকবাজ। গ্রামের তিনটি বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। তাতেই পাঁচ নাগরিকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, নিরাপত্তারক্ষী এবং স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: মাম ভাতা দ্বিগুণ বিজেপি শাসিত হরিয়ানায়, মুখ্যমন্ত্রী খট্টরকে সংবর্ধনা ওয়াকফ বোর্ডের]
ওই ঘটনার পরে কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বাড়তি ১৮ কোম্পানি আধাসেনা পাঠায় কেন্দ্র। অর্থাৎ নতুন করে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তায় ১৮০০ আধাসেনা নিয়োগ করা হয়। মূলত পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ করা হয় তাঁদের। সেই ঘটনার পর একযোগে সেনা, সিআরপিএফ এবং কাশ্মীর জোন পুলিশ একযোগে উপত্যকাজুড়ে তল্লাসি চালাচ্ছে। সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বিরাট সাফল্য পেল সেনা।