অর্ণব আইচ ও সুরজিৎ দেব: আল কায়দার (Al Qaeda) নির্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গি কার্যকলাপ, মসজিদে ইমামতির আড়ালে জেহাদের বীজ ছড়ানো। এমনই দেশবিরোধী কাজের অভিযোগে মুম্বই থেকে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের (STF) হাতে গ্রেপ্তার যুবক। একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবার থেকে এসডিপিও গ্রেপ্তার করেন একজনকে। দু’জনই ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিশের একটি টিম, এসটিএফ ও মুম্বই এটিএসের যৌথ অভিযানে জালে আনা হয় তাদের। ধৃতদের নাম সমীর হোসেন শেখ ও সাদ্দাম হোসেন খান। জানা গিয়েছে, আল কায়দার শাখা সংগঠন কোয়াতুল হিন্দের সঙ্গে যুক্ত সমীর ও সাদ্দাম। তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে খবর।
রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সূত্রের খবর অনুযায়ী, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সমীর হোসেন শেখের বয়স ৩০ বছর। সে ডায়মন্ড হারবার থানার দেউলপোতা এলাকার বাসিন্দা। বর্ধমানের (Burdwan) মাদ্রাসায় পড়শোনা করত। পরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় পড়াশোনা শেষ করার পর ডায়মন্ড হারবার থানার আবদালপুরের একটি মসজিদে ইমামতি করত। অভিযোগ, ইমামতির আড়ালেই জঙ্গিমূলক (Terrorists) কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল সমীর। আল কায়দার শাখা সংগঠন কোয়াতুল হিন্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। ছেলের জঙ্গিযোগ নিয়ে পরিবারের দাবি, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কেন ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তা বুঝতেও পারছেন না।
[আরও পড়ুন: ঋণের ফাঁদ পেতে লুঠতরাজ চালাচ্ছে চিন! ইডির হানা রেজারপে, পেটিএম অফিসে]
ধৃত অপরজন সাদ্দাম হোসেন খান পারুলিয়ার কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) জেহাদি কাজকর্মের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অপারেশনে নামে। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ও এসটিএফের যৌথ অভিযান চালায়। সাহায্য় নেওয়া হয় মুম্বইয়ের এটিএস (ATS) অর্থাৎ সন্ত্রাসদমন শাখার। তিন বিভাগের অফিসারদের তৎপরতায় মুম্বইয়ের নির্মলনগর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ফোন অ্যাপ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ধৃত সমীর ও সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের গ্রেপ্তারি ডায়মন্ড হারবার পুলিশের বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।