সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) যেন ধনুকভাঙা পণ করে বসে আছেন। কিছুতেই শিণ্ডে সেনাকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না। মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শুক্রবারই দলের সব পদ থেকে বরখাস্ত করার চিঠি দিয়েছেন তিনি। শনিবার আবার জয়ের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই, জেনেও মহারাষ্ট্রের স্পিকার নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন শিব সেনা (Shiv Sena) ‘প্রধান ‘।
রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharastra Assembly) স্পিকার নির্বাচন। শনিবার শাসক শিবির স্পিকার পদের প্রার্থী হিসাবে প্রথমবারের বিধায়ক রাহুল নরবেকরের নাম ঘোষণা করেছে। এই মুহূর্তে বিধানসভার অঙ্ক যা বলছে, তাতে শিণ্ডে শিবিরের স্পিকার পদে রাহুলকে জিতিয়ে আনতে কোনওরকম অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার অন্তত ১৬৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে শিণ্ডে (Eknath Shinde) শিবিরের দিকে। বিপক্ষে মোটে ১১০-১১৫ জন। ভোট দেওয়ার জন্য গোয়া থেকে বিক্ষুব্ধ শিবিরের বিধায়করা মুম্বই ফিরেছেন। কিন্তু তা বলে লড়াই ছাড়তে নারাজ উদ্ধব সেনাও। তাঁরাও রত্নগিরি জেলার প্রভাবশালী শিব সেনা বিধায়ক রঞ্জন সালভিকে স্পিকার পদে প্রার্থী করেছেন। সালভি এখনও উদ্ধবের পাশেই আছেন। শিব সেনার এই প্রার্থীকে সমর্থন করবে কংগ্রেস (Congress) এবং এনসিপিও (NCP)।
[আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান নাগরিকদের ভাতা বন্ধ, অথচ সাংসদদের জন্য খরচ কোটি টাকা! প্রশ্নের মুখে রেলের ‘দ্বিচারিতা’]
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেসের নানা পাটোলে পদত্যাগ করার পর থেকেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের আসনটি ফাঁকা। এতদিন কাজ চালাচ্ছিলেন ডেপুটি স্পিকার। ঘটনাচক্রে এর মধ্যে স্পিকার নির্বাচনের জন্য বিধানসভায় অনুমতিও চেয়েছিল মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। কিন্তু এতদিন সেই অনুমতি রাজ্যপাল দেননি। নতুন সরকার আসতেই রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি স্পিকার নির্বাচন করাচ্ছেন। এতদিন থামিয়ে রেখে এখন কেন স্পিকার নির্বাচনের অনুমতি দেওয়া হল? সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ি (MVA)।
[আরও পড়ুন: রথযাত্রার পরদিনই ‘অঘটন’! পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা, ভাঙচুর ২০টি উনুন]
এদিক উদ্ধব শুক্রবার রাতে শিণ্ডেকে দলের সব পদ থেকে সরানোর যে সিদ্ধান্ত উদ্ধব ঠাকরে নিয়েছেন, তার বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিণ্ডে শিবির। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক দীপক কেসরকর জানিয়েছেন, উদ্ধবের ওই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষের অপমান। আমরা এর বিরোধিতা করবই। সঠিক সময়, সঠিক ফোরামে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হবে।