সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি নিয়ে এবার পড়ুয়াদের সতর্ক করল ‘ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন’ (UGC)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউজিসি জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষার জন্য চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভরতি হওয়ার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আরও ‘সতর্ক হতে হবে’। একইসঙ্গে, আগাম অনুমতি ছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালগুলির অনলাইন ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ইউজিসি।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংসলীলা চালাতে পারত ‘বাদুড় বোমা’! কেন সফল হয়নি এই গোপন মারণাস্ত্র?]
২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া করোনা (Corona) মহামারীর পর থেকেই বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমণে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠরত বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী এখনও সশরীরের ক্লাসে বসতে পারেননি। কিন্তু ফের একবার বেশ কয়েকটি চিনা বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি পড়ুয়াদের অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এহেন সময়ে নিজের বিবৃতিতে ইউজিসি স্পষ্ট জানিয়েছে, আগাম অনুমতি ছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালগুলির অনলাইন ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
বলে রাখা ভাল, শুক্রবার নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানে ভারতীয় পড়ুয়াদের চিনে ফেরার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল’ স্পষ্ট জানিয়েছিল যে বিদেশ থেকে যাঁরা অনলাইনে ডাক্তারি ডিগ্রি নিয়েছেন তাঁরা ‘ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েটস এক্সামিনেশন’-এ বসার সুযোগ পাবেন না। অর্থাৎ, তাঁরা ভারতে চিকিৎসা করার অনুমতি পাবেন না।
নিজের বিবৃতিতে ইউজিসি জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে ভারতীয় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখনও চিনে ফিরে যেতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ভিসা দেওয়াও বন্ধ রেখেছে তারা। এছাড়া, আগেই চিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোর্সগুলি এবার অনলাইনে পড়ানো হবে। কিন্তু আগাম অনুমতি ছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালগুলির অনলাইন ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেয় না ইউজিসি ও এআইসিটিই। এসন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানে সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে পড়ুয়াদের। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই বিদেশে পড়তে যাওয়ার বিষয়ে পড়ুয়াদের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে আরও সতর্ক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে চিনের (China) বহু শহরে। যার পর বেজিং-সহ (Beijing) একাধিক শহরে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। প্রথম থেকেই চিনের লক্ষ্য ছিল, কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করে দেশকে ‘কোভিড-শূন্য’ করা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রমশ নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে সেই সংকল্প।