২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে শেষ কেন্দ্রীয় বাজেট। কতটা পূরণ হবে চাহিদা সেইদিকেই নজর দেশবাসীর। GST চালুর পর এটিই প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট। ঠিক সকাল ১১টা নাগাদ নির্ধারিত সময়ে সংসদে বাজেট প্রস্তাব পড়তে শুরু করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দেখে নেওয়া যাক অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাব-
১. জিএসটি চালুর পরে এটিই প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট।
২. গত কয়েক বছরের যাত্রা ছিল চ্যালেঞ্জিং।
৩. গরিবকে সরাসরি সুবিধা প্রদানে জোর।
৪. ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের আগেই এই সরকার চায় কৃষিজীবীদের রোজগার দ্বিগুণ হোক। কৃষিতে যাতে ঠিকমতো উৎপাদন হয় তা দেখা। তাঁরা যাতে বাজারে ভাল দাম পান সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সরকার। চাষিদের ফসলের দাম দেড়গুণ করাই লক্ষ্য। এই খরচ কৃষকরা পাবেন। মূলত দালালরাজ খতম করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫. সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোয় জোর।
৬. অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সব ইঙ্গিত স্পষ্ট।
৭. ভারত পৃথিবীতে সপ্তম অর্থনীতি।
৮. ভারতের GDP বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের উপরে।
৯. ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসে প্রথম সারিতে।
১০. শতাধিক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১১. ৮০০ টাকার উপরে ওষুধ মিলবে সুলভমূল্যে।
১২. স্টেন্টের দাম ও ডায়ালিসিসের খরচ কমবে।
১৩. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপরে জোর।
১৪. টুকরো টুকরো নয়, লক্ষ্য সামগ্রিক সংস্কার।
১৫. সমর্থন মূল্যের থেকে বাজার দর কমলেও সঠিক মূল্য।
১৬. ভারত আয়ুর্বেদিক ভেষজের অন্যতম জায়গা। তাকে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। তারজন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।
১৭. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমতি। এই কাজ দ্রুততর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র।
১৮. গ্রাম-সড়ক যোজনায় সড়ক সংযোজনে জোর।
১৯. কৃষিতে পণ্যভিত্তিক ক্লাস্টারের ভাবনা।
২০. জৈব প্রযুক্তি ও কৃষির উপরে জোর।
২১. ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অপারেশন গ্রিন।
২২. ন্যাশনাল বাম্বু মিশনে ১২৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
২৩. বাঁশ চাষের উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
২৪. সরকারের কাজের লক্ষ্য গরিব ও মধ্যবিত্ত।
২৬. সেচ ব্যবস্থাকে গভীরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য।
২৭. ১০ হাজার কোটি টাকার নতুন পালনে জোর।
২৮. প্রত্যেক গরিবদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা।
২৯. রাজধানী দিল্লি ও তার উপকণ্ঠে দূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যবস্থা করা হবে। দূষণ কমাতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকে যথাযথ সাহায্য করা হবে।
৩০. ১৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
৩১. ১১ লক্ষ কোটি বাজেট বহির্ভূত তহবিল।
৩২. গ্রামীণ ক্ষেত্রে রোজগার বৃদ্ধিতে জোর।
৩৩. স্কুল শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে সংশয় রয়েছে।
৩৪. জেলাভিত্তিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জোর।
৩৫. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা প্রস্তাব করলেন অর্থমন্ত্রী।
৩৬. কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলায় জোর।
৩৭. শিক্ষকদের নতুন বি-এড ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
৩৮. একলব্য স্কুল নবোদয়ের সমতুল্য করা হবে।
৩৯. গবেষণা উন্নয়ন প্রকল্পে এক লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ।
৪০. ১ হাজার বিটেক পড়ুয়াকে বি-টেক বৃত্তি।
৪১. দেড় লক্ষ সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে সাধারণ স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। মূলত বাড়ি বসে মানুষ যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পায় তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
৪২. দেড় লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হবে।
৪৩. জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা সূচনা হচ্ছে।
৪৪. পরিবার পিছু বছরে ৫লক্ষ টাকা বরাদ্দ।
৪৫. আযুষ্মান ভারত পৃথিবীর সবথেকে বড় স্বাস্থ্য প্রকল্প।
৪৬. আওতায় ১০ কোটি পরিবার। ৫০ কোটি মানুষ।
৪৭. ২৪টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ খোলা হবে।
৪৮. প্রত্যেক রাজ্যে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল কলেজ হবে।
৪৯. প্রতিটি পরিবার প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা যোজনার অন্তর্ভুক্ত হবে।
৫০. প্রত্যেক পরিবার স্বাস্থবিমার আওতায় পড়বে।
৫১. আর্থিক সংস্থাগুলির ক্ষমতা বেড়েছে।
৫২. জিএসটি ও নোট বাতিলের সমীক্ষা হয়েছে।
৫৩. সেই সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই এগোচ্ছে সরকার।
৫৪. নোট বাতিলের পর ঋণদানের ক্ষমতা বেড়েছে।
৫৫. কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাংক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলি নোট বাতিলের পরে এদের কাছে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঋণ নিতে শুরু করেছে।
৫৬. তফসিলি জাতি-উপজাতি উন্নয়নে জোর।
৫৭. ২ বছরে আরও দু’কোটি শৌচালয় তৈরি হবে।
৫৮. প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৫১ লক্ষ বাড়ি।
৫৯. ২০২২-র মধ্যে সব গরিবদের ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
৬০. ইপিএফে মহিলাদের কম টাকা কাটা হবে।
৬১. চাকরির প্রথম তিনবছর কম টাকা কাটা হবে।
৬২. সি প্লেন সুবিধা চালু হবে।
৬৩. সীমান্ত এলাকায় নতুন রাস্তা তৈরি হবে।
৬৪. স্মৃতিসৌধ সংস্কার ও পর্যটনে জোর দেওয়া হবে।
৬৫. টিবি মোকাবিলায় ছয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
৬৬. রেলের পরিবহণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে।
৬৭. রেল নেটওয়ার্কে বৈদ্যুতিকরণে জোর।
৬৮. বস্ত্র শিল্পে ৭১৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
৬৯. রেলে বরাদ্দ এক লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি। ৬০০ স্টেশনের আধুনিকীকরণ হবে।
৭০. যাত্রী নিরাপত্তাতেও বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
৭১. ২৫ হাজারেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন এমন স্টেশনে চলমান সিঁড়ির সুবিধা থাকবে।
৭২. সমস্ত স্টেশনে সিসিটিভি ও ওয়াইফাই পরিষেবা।
৭৩. বিমানবন্দরের ক্ষমতা পাঁচগুণ বাড়বে।
৭৪. বিশ্ব অর্থনীতি ডিজিটালের দিকে এগোচ্ছে। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া সেই রাস্তায় হাঁটার পদক্ষেপ।
৭৫. রোবোটিক্স ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও গবেষণার ক্ষেত্রে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
৭৬. ইতিমধ্যেই দুই লক্ষ ৫০ হাজার গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে গিয়েছে। পাঁচ কোটি গ্রামবাসীকে সস্তার ইন্টারনেট দেওয়া হবে। সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার।
৭৭. ডিজিটাল পেমেন্টকেই সরকারি উৎসাহ।
৭৮. ক্রিপ্টোকারেন্সিকে মান্যতা নয়।
৭৯. ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমাসংস্থার সংযুক্তিকরণ। সবজুড়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমানসংস্থা হবে।
৮০. ব্যাংক আরও পাঁচ লক্ষ কোটির পুঁজি প্রয়োজন। আঞ্চলিক ব্যাংকগুলিকে শক্তিশালী করায় জোর।
৮১. ১১ বছর বাদে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের ভাতা বাড়ল।
৮২. রাষ্ট্রপতির বেতন পাঁচ লক্ষ টাকা
৮৩. উপরাষ্ট্রপতির বেতন চার লক্ষ টাকা।
৮৪. রাজ্যপালদের ৩.৫ লক্ষ টাকা বেতন।
৮৫. বাড়ছে সাংসদদের বেতন ও ভাতা। পাঁচ বছর অন্তর বাড়বে সাংসদদের বেতন।
৮৬. রেলের সম্পত্তি লাভজনক খাতে ব্যবহার করা হবে।
৮৭. মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
৮৮. ৮৫.৫১ লক্ষ নতুন করদাতা। প্রত্যক্ষ কর আদায়ে ১৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি।
৮৯. করের আওতায় বেশি মানুষকে আনা লক্ষ্য। আয়কর আদায়ে কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ৪১ শতাংশ বেশি আয়কর রিটার্ন ফাইল। রাজস্ব বৃদ্ধিই বুঝিয়ে দিচ্ছে পদক্ষেপ সফল। নোট বাতিলে সাড়া দিয়েছেন আয়করদাতারা। ছোট ব্যবসায়ীদের রিটার্ন ফাইল।
৯০. জিএসটি খাতে ২১.৫৭ লক্ষ কোটি আদায়।
৯১. সমবায় ঋণ সংস্থার লাভে ১০০ শতাংশ ছাড় আছে।
৯২. কৃষি উৎপাদনে লাভের উপর ১০০ শতাংশ ছাড়।
৯৩. ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে। চামড়া জুতো শিল্পে বিশেষ সুবিধা।
৯৪. মধ্যবিত্তকে রেহাই দিতে ৪০,০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন।
৯৫. প্রবীণ নাগরিকদের ১৫ লক্ষ টাকা ফিস্কড ডিপোজিট। ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদে ছাড়। আট শতাংশের উপরে প্রবীণদের স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে বেশি কর ছাড়। বছরে ৫০ হাজার টাকা সুদ কর মুক্ত।
৯৬. লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন শুরু হচ্ছে। এক লক্ষ টাকার উপরে ক্যাপিটাল গেন ১০ শতাংশ।
৯৭. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে সেস বৃদ্ধি। ১ থেকে বেড়ে ৪ শতাংশ হল।
৯৮. মেডিক্যাল ও পরিবহণ খাতে ৪০ হাজার টাকা ছাড়।
৯৯. সেবি আরবিআই আইনে সংশোধনী।
১০০. বিদেশি মোবাইলের দাম বাড়বে। ক্রেডিটকার্ড ও মোবাইল বিলের রাজস্ব কর বাড়বে। মোবাইলে ২০ শতাংশ রাজস্ব কর বাড়ছে।
১০১. দেশের উন্ননের জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নয়নের রাস্তায় হাঁটতে হবে।
[আয়করে ছাড় মিলবে? জেটলির বাজেটের দিকে তাকিয়ে মধ্যবিত্ত, চাকুরিজীবীরা]
The post কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮: একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে মোবাইলের দাম appeared first on Sangbad Pratidin.