সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচণ্ড প্রসব বেদনা নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু টাকা দিতে পারেননি। ভর্তি নেওয়া তো দূর, ধাক্কা দিয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। হাসপাতালের ফটকের সামনেই জন্ম দিলেন সন্তানের। প্রবল ঠাণ্ডা আর চিকিৎসার অভাবে ফটকের সামনেই মৃত্যু হল সদ্যোজাতের। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এমন মর্মান্তিক খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে আচমকাই প্রসব বেদনা শুরু হয় নীলম নামে এক মহিলার। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে বুদায়ুন জেলার মহিলা হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী। কিন্তু সেসময় হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। তাই নীলমকে ভর্তি নিতে চাননি হাসপাতালের কর্মীরা। বেশ খানিকক্ষণ কথা কাটাকাটির পরে নীলমের পরীক্ষা করানোর জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন কর্মীরা। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না নীলমের পরিবারের।
[আরও পড়ুন: ‘পাকপন্থী’ তেহরিক-ই-হুরিয়তকে ‘বেআইনি সংগঠন’ ঘোষণা শাহর, UAPA ধারায় অভিযোগ দায়ের]
সেকথা শুনেই কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নীলমকে বের করে দেন হাসপাতালের কর্মীরা। কোনওমতে তাঁকে নিয়ে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করেন সকলে। কিন্তু হাসপাতালের ফটক পর্যন্ত পৌঁছতেই সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেলেন নীলম। পথেই জন্ম নেয় শিশুটি। কিন্তু তাতেও হাসপাতালে ঠাঁই মেলেনি। খোলা আকাশের নীচে প্রবল ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারেনি সদ্যোজাত। চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের ফটকেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা জানতে পেরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জেলাশাসক মনোজ কুমার জানান, “এটা খুবই আশঙ্কাজনক বিষয়। কোনও পরিস্থিতিতেই এমন গাফিলতি বরদাস্ত করা যায় না। এক মহিলাকে ভর্তি না নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন হাসপাতালের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই নগর প্রশাসনকে এই ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।” দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মনোজ।