সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে ভারতে মানবাধিকার (Human Rights Violations) লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট (US Report)। চাঞ্চল্যকর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে উদ্বেগজনক ভাবে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে বেআইনি তথা নির্বিচারে হত্যা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি হিংসার ঘটনা। মোদি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে এনেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)।
এই প্রতিবেদনে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, অমানবিক নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, পুলিশ ও কারাকর্তাদের দ্বারা অভিযুক্তদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এছাড়াও নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটক, রাজনৈতিক বন্দী বা আটক, গোপনীয়তার সঙ্গে স্বেচ্ছাচার বা বেআইনী হস্তক্ষেপ, সহিংসতা বা হিংসার হুমকি, মিডিয়ার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক ভাবে গ্রেপ্তার বা বিচার, তাঁদের কর্মকাণ্ড রুখতে ফৌজদারি মামলা দায়ের ইত্যাদি।
[আরও পড়ুন: জিতে আসার ২০ দিন পর বুধবার শপথ বায়রন বিশ্বাসের, জানালেন স্পিকার]
এর আগে একই ধরনের মার্কিন রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসলে তা অস্বীকার করেছিল মোদি সরকার। কেন্দ্র দাবি করেছিল, সমস্ত নাগরিকের অধিকার রক্ষায় নির্দিষ্ট আইন রয়েছে ভারতীয় গণতন্ত্রে। যদিও সাম্প্রতিক রিপোর্ট সেকথা বলছে না। মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, বহুক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিকে হেনস্তা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুল গান্ধী বর্তমানের মীরজাফর’, আক্রমণ বিজেপির, পালটা দিল কংগ্রেস]
এছাড়াও লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন হিংসা, নারী নির্যাতন তথা হত্যার কথা বলা হয়েছে সম্প্রতি প্রকাশিত ওই রিপোর্টে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এখন দেখার নয়া রিপোর্ট নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয় মোদি সরকার।