সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ দিনে যুদ্ধজয়। কাটল উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ সংকট। মিলল মুক্তির স্বাদ। পাহাড়ের পেট খুঁড়ে উদ্ধার শুরু হল ৪১ শ্রমিককে। একে একে বেরিয়ে আসছেন তাঁরা। প্রচুর চেষ্টার পর ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধেয় সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় তাঁদের বের করে আনার প্রক্রিয়া। ১৭ দিন পর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও।
সকলেই সুস্থ আছে বলে প্রাথমিক খবর। তবু তাঁদের জন্য সুড়ঙ্গের বাইরে ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শ্রমিকদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল উত্তরকাশীর (Uttarkashi) ওই সুড়ঙ্গটি। সেখানেই আচমকা ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল শুরু করে উদ্ধারকাজ। কিন্তু গত ১৭ দিন ধরে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: জিলেটিন স্টিক উদ্ধার মামলা: তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রত-সায়গলকে জেরা করবে NIA]
মঙ্গলবার সিল্কিয়ারায় গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ধামী। বেলার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, “৫২ মিটার পর্যন্ত পাইপ পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। সুড়ঙ্গের মধ্যে পাথর বা অন্যান্য বাধা দেওয়ার উপাদানও অনেকটাই কমেছে। যেভাবে কাজ চলছে, আশা করছি দ্রুতই ভালো কিছু ঘটবে।” দুপুরের দিকে খোঁড়াখুড়ির কাজ শেষ হয়। ভিতরে ঢোকে অ্যাম্বুল্যান্স, স্ট্রেচারও। সেখানেই তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকী, বাইরে চিনুক হেলিকপ্টারও তৈরি রাখা হয়েছিল।