সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথায় আচ্ছে দিন! গত ৮ বছরে ভারতীয় টাকার দাম পড়েছে ২৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে ভারতীয় মুদ্রায় (Indian Rupee) এক ডলারের দাম যা ছিল, ২০২২ সালে সেই দাম বেড়েছে অন্তত ১৬ টাকা ৮ পয়সা। বাদল অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভায় লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিল কেন্দ্র সরকার।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক ডলারের (Dollar) দাম ছিল ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৯ টাকা ৭৯ পয়সা। ২০১৯ সালের শেষদিনে দেখা যায় ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ৭০-র গণ্ডি ছাড়ায়। করোনা কালের পর এই বিনিময় মূল্য সত্তর টাকার আশপাশে ছিল। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই মন্দা ভারতীয় মুদ্রা বাজারে। ক্রমশ পড়ছে ভারতীয় মুদ্রার দাম। চলতি বছরের ১১ জুলাই এক ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে আশি ছুঁইছুঁই, ৭৯ টাকা ৪১ পয়সা। লোকসভার দুই সদস্য দীপক বইজ এবং বিজয় ভাসনাথের লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন ভারতীয় মুদ্রা এবং ডলারের বিনিময় ছিল ৭৮ টাকা ৯৪ পয়সা।
[আরও পড়ুন: দমকল দুর্নীতি: জরিমানার মুখে PSC, আরও বাড়ল নিয়োগে স্থগিতাদেশের মেয়াদ]
স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য সামনে আসার পরই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে পড়েছে ভারতীয় মুদ্রার দাম। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভারতীয় শেয়ার বাজার ধুঁকছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না। আবার আমেরিকার ফেডারেল ব্যাংকের সুদ বাড়ানোর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে ক্রমাগত টাকা তুলে নিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারতীয় মুদ্রা বাজারে।
কেন্দ্রের দাবি, টাকার দামের পতনের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। তাদের দাবি. দুর্বল অভ্যন্তরীণ বাজার (Weak Domestic Market), অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, ডলার ফুলে-ফেঁপে ওঠা এবং বিদেশি পুঁজি কমে যাওয়ার জন্য দেশীয় মুদ্রার উপর প্রভাব পড়ছে। ফলে ক্রমশ কমছে ভারতীয় মুদ্রার দাম।