সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আমেরিকার ওয়ান্টেড লিস্টে নাম উঠেছে প্রাক্তন 'র' এজেন্ট বিকাশ যাদবের। যদিও ১০ মাস আগেই ভিন্ন এক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, বিকাশের পাশাপাশি ২০২৩ সালে তাঁর আরও এক সঙ্গীকে খুনের চেষ্টা ও তোলাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জামিন পেয়ে যান বিকাশ।
সম্প্রতি মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই বিকাশকে 'মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ‘সুপারি কিলার নিয়োগ’ ও ‘অর্থ নয়ছয়ের’ অভিযোগও দায়ের করা করেছে। এফবিআই-এর অভিযোগ, এই পন্নুন হত্যাকাণ্ডে বিকাশকে সাহায্য করেছিল নিখিল গুপ্ত। নিষিদ্ধ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস নেতাকে খুনের জন্যে বিকাশ এবং নিখিল এক ব্যক্তিকে বরাত দেয়। এই অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছে নিখিলকে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার জেলে বন্দি। এই মামলার আরও এক অভিযুক্ত বিকাশকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। অবশ্য পান্নুন হত্যার মামলা নয়, অন্য এক খুনের চেষ্টা ও তোলাবাজি মামলায় ১০ মাস আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
এফবিআইয়ের 'ওয়ান্টেড' বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ যাদব
জানা গিয়েছে, দিল্লির রোহিণীর বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী ২০২৩ সালে বিকাশের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেন, ২০২৩ সালে এক ব্যক্তি বিকাশের সঙ্গে তাঁর আলাপ করায়। জানানো হয়, উনি একজন শীর্ষ সরকারি আধিকারিক। তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকায় পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। ব্যবসায়িক কাজে সাহায্য পেতে পারেন এই ভেবে ফোন নম্বর লেনদেন করেন দুজন। বিকাশ তাঁকে জানিয়েছিলেন তিনি গুপ্তচর সংস্থায় কর্মরত। দিল্লি পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে ওই ব্যবসায়ী জানান, ১১ ডিসেম্বর বিকাশ তাঁকে লোধি রোডে ডাকে। সেখানে তিনি গেলে তাঁকে অপহরণ করে ডিফেন্স কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকাশ ওই ব্যবসায়ীকে জানান, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং তাঁকে হত্যার সুপারি দিয়েছে।
সেখানে বিকাশের এক সঙ্গী তাঁকে মারধর করে সোনার চেন ও আংটি খুলে নেয়। সেখান থেকে তাঁকে এক ক্যাফেতে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে তাঁর সঙ্গে ঠাকা সব টাকা লুট করে নেওয়া হয়। সঙ্গে হুমকি দেওয়া হয়, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে ফল ভালো হবে না। এর পর দিল্লি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী। সেইমতো ১৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় বিকাশকে। চলতি বছরের মার্চ মাসে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে দিল্লি পুলিশ। যদিও এপ্রিল মাসে জামিন পেয়ে যান বিকাশ।