সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তরুণদের। দেশে কর্মসংস্কৃতির হাল ফেরাতে এমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি। আর তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। এবার তাঁকে খোঁচা দিলেন কমেডিয়ান বীর দাস।
ঠিক লিখলেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান? তাঁকে এক্স হ্যান্ডলে লিখতে দেখা গিয়েছে, ”জীবন কঠিন। আপনি কোনও মেয়ের দেখা পেলেন। তাঁর প্রেমে পড়লেন, বিয়েও হল। ওঁর বাবা চাইলেন আপনি সপ্তাহের ৭০ ঘণ্টা খাটবেন। আপনি অত খাটতে পারবেন না। আপনি ফুর্তি করতে চান আর তাই ইংল্যান্ডে পালিয়ে গেলেন।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের স্ত্রী নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতা মূর্তি। বীরের মন্তব্যে যে সেই ইঙ্গিতই করা হলে তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠ পরীক্ষায় ‘না’, এসএসকেএম থেকে ফের খালি হাতে ফিরল ইডি]
প্রসঙ্গত, একটি পডকাস্টে কথা বলার সময় নারায়ণমূর্তি জানিয়েছিলেন, ভারতের কর্ম সংস্কৃতির বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তরুণদের। তাঁর কথায়, ”ভারতের কর্ম-উৎপাদনশীলতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।” এই পরিস্থিতিতে ৭৭ বছরের নারায়ণমূর্তির (Narayana Murthy) পরামর্শ, ”আমার মতে তরুণদের অবশ্যই বলা উচিত, এটা আমার দেশ। আমি ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই।”
নারায়ণমূর্তির এহেন পরামর্শের অনেকেই সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন বীর দাসও। পাশাপাশি এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে কী, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা খাটার অভ্যাসটা কলেজ থেকে শুরু করলে কেউ আর ইনফোসিসে যাবে না।’ আর একজনের দাবি, এমন মন্তব্য করে নারায়ণমূর্তি মহিলাদের চাকরি করাটাকেও চ্যালেঞ্জে ফেলে দিতে চাইছেন। কেননা ঘর সামলে সম্ভবত কোনও মহিলাই এতক্ষণ কাজ করতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর যাওয়া সম্ভব নয়, এথিক্স কমিটির তলবে সাড়া দিচ্ছেন না মহুয়া]
কোনও কোনও নেটিজেনের খোঁচা, তরুণরা ৭০ ঘণ্টা নিশ্চয়ই কাজ করতে পারেন। তবে তার ৪০ ঘণ্টা তাঁরা সংস্থার জন্য করবেন। বাকি ৩০ ঘণ্টা করা উচিত ব্যক্তিগত উদ্যোগে। আবারও কারও পালটা, সেজন্য ঘণ্টাপিছু টাকাও দিক সংস্থারা। তা তো তারা দেয় না।