সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর দেশের ৯ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। শুরুতেই পালা ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের। বুধবার একযোগে তিন রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
ত্রিপুরায় নির্বাচন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ভোট হবে একই দিনে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ৩ রাজ্যের ভোটেরই ফলাফল ঘোষিত হবে আগামী ২ মার্চ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৩ রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সবরকম বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তিনটি রাজ্যেই ভোট করানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। ৩১ জানুয়ারি থেকে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু হবে।
[আরও পড়ুন: চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৫ আসনে জেতার টার্গেট সুকান্তর, ভিন্ন মত দিলীপের]
এই তিন রাজ্যেই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি রয়েছে শাসকের আসনে। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার চলছে। ডাঃ মানিক সাহার (Manik Saha) সরকারের মূল চ্যালেঞ্জার সেখানে হতে চলেছে আদিবাসীদের দল তিপ্রা মোথা। বাম এবং কংগ্রেসের জোটও বেশ কঠিন লড়াইয়ে ফেলতে চলেছে বিজেপিকে। মেঘালয়ে এখন এনপিপির সরকার। সেখানে সামান্য ২ আসন নিয়ে সরকারের শরিক বিজেপি। সেরাজ্যে বিজেপি এখনও প্রান্তিক দল। মূল লড়াই এনপিপি (NPP), স্থানীয় একাধিক দল এবং তৃণমূলের। লড়াইয়ে আছে কংগ্রেসও। আর নাগাল্যান্ডে মূল লড়াই স্থানীয় দলগুলির মধ্যেই। ঘটনাচক্রে সেরাজ্যে এই মুহূর্তে বিরোধী দল বলে কিছু নেই।
[আরও পড়ুন: কোনও ছবি নিয়ে ‘অকারণ মন্তব্য’ নয়, ‘পাঠান’ বিতর্কের মাঝে দলীয় নেতাদের নির্দেশ মোদির!]
ইতিমধ্যেই তৃণমূল মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংগঠন বাড়ানোর কাজ চালিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে অংশ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে, মেঘালয়ে কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগদানের ফলে সেখানেও বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের কাছে সুযোগ থাকছে এই দুই রাজ্যের নির্বাচনে ভাল ফল করে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির বিকল্প হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার।