সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বিজেপির সবচেয়ে বড় বলভরসা রামমন্দির (Ram Temple), তা নিয়েই প্রতারণা শুরু হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। এই বিষয়ে সতর্ক করল খোদ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad)। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে দলের তরফে সতর্ক করা হয়েছে ভক্তদের। সেখানে জানানো হয়েছে, একদল সাইবার প্রতারক মন্দিরের জন্য অনুদানের নামে টাকা তুলছে। পাঠানো হচ্ছে কিউআর কোড। যদিও রামতীর্থ ক্ষেত্রে ট্রাস্ট এভাবে অনুদান গ্রহণ করছে না। এই বিষয়ে প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। রামতীর্থ নিয়ে এমন ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
শনিবার রামজন্মভূমি সফরে অযোধ্যা রেল স্টেশন এবং বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২২ জানুয়ারি বহুচর্চিত রামমন্দির উদ্বোধন করবেন তিনি। অযোধ্যানগরীতে এখন সাজসাজ রব। জোর কদমে চলছে মন্দিরের কাজও। যদিও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনেও সেই কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে। শনিবার নিজের ভাষণে আমজনতাকে ২২ জানুয়ারি মন্দিরে আসতে বারণ করেন খোদ মোদি। অসম্পূর্ণ মন্দির তাড়হুড়ো করে উদ্বোধন নিয়ে বিরোধীরা যখন প্রশ্ন তুলছেন, তার মধ্যে রামের নামে প্রতারণার বিষয়টি সামনে এল।
[আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম বন্ধুই ‘ভিলেন’! কিশোরীকে অপহরণ করে মাসের পর মাস ধর্ষণ, ধর্মান্তকরণের চেষ্টা!]
এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন খোদ ভিএইচপি মুখপাত্র বিনোদ বনসল। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং দিল্লি পুলিশকে ট্য়াগ করে তিনি লেখেছেন, “সাবধান!! শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রের নামে ভুয়ো আইডি বানিয়ে কিছু প্রতারণার চেষ্টা শুরু করেছে। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। শ্রীরাম তীর্থ কাউকে উৎসবের জন্য অনুদান তোলার বরাত দেয়নি।” রামভক্তদের সতর্ক করে একটি ভিডিও মেসেজও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিনোদ। সেখানে তিনি বলেন, এটা আনন্দের উৎসব। আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কোনও রকম অনুদান গ্রহণ করা হবে না।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ? দলিত তরুণীকে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে ‘শাস্তি’!]
ভিএইচপির তরফে একটি অডিও ক্লিপ (অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল) শেয়ার করা হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে এক ভক্ত ও প্রতারকের দীর্ঘ কথোপকথন শোনা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কিউআর কোড পাঠানো হচ্ছে এবং টাকা তুলছে প্রতারকরা। এক প্রতারককে বলতে শোনা যায়, হিন্দু এবং মুসলমান সমাজের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। মুসলমানরা মন্দির নির্মাণের কাজ এগোতে দিচ্ছে না। এই ঘটনায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।