স্টাফ রিপোর্টার: জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit) সফল করতে বাংলার তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লির সম্মেলনের পর শুক্রবার তার প্রস্তুতির দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে সেই সুরেই সুর মেলালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ভারচুয়াল বৈঠকে নিজের কালীঘাটের কার্যালয় থেকে যোগ দিয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বৈঠকে এদিন বলার সুযোগ পাননি তিনি। যদিও এদিনের বক্তা তালিকায় তাঁর নাম ছিল। বৈঠকে বলার সুযোগ দেওয়া হয় জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেনারেল, কেরলের রাজ্যপালদের। কারণ গত সোমবারের দিল্লির বৈঠকে তাঁরা বলার সুযোগ পাননি।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বৈঠকে বলেছেন, “আমাদের দেশের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন দেশের কাছে মর্যাদার। যেসব রাজ্যে তাদের আসর বসবে, তারাও এই গৌরবের অঙ্গ। বিদেশি অতিথিদের সামনে রাজ্যগুলির পাশাপাশি গোটা দেশের সমস্ত সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরা যায়, সেটা দেখতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে কাজ করতে হবে। এই সম্মেলন সফল করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: প্রেমের টানে রাশিয়া থেকে সোজা কান্দি, বাংলার ছেলের সঙ্গে মালাবদল রুশ সুন্দরীর]
সূত্রের খবর, মোদি এদিনের ভারচুয়াল বৈঠকে বারবার সমস্ত রাজ্যের ভাল দিকগুলো তুলে ধরতে হবে বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, যেসব রাজ্যে জি-২০ সম্মেলনের আসর বসবে, সেইসব রাজ্যের সব থেকে ভাল দিক তুলে ধরতে হবে। তুলে ধরতে হবে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। যাতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। এমনভাবে সমস্ত প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে বিদেশি অতিথিদের এই দেশ, দেশের বিভিন্ন রাজ্য তাঁদের কাছে নিজেদের ঘর মনে হয়। এমনকী, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির উন্নয়ন, বিনিয়োগ অগ্রগতি-সহ বিজ্ঞান, গবেষণা নিয়ে সম্ভাবনার দিকও তুলে ধরার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলন বসতে চলেছে। যার সভাপতিত্ব করবে ভারত। ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সম্মেলন বসবে। জানা যাচ্ছে, মোট ২০টি দেশের প্রধান থাকবেন। বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ, ওমান, স্পেন, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ড-সহ ১০টি দেশকে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যরাও বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন। তাঁদের অভ্যর্থনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মোদি। সম্মেলনের ভাবনা, তার প্রতীক কী হবে, তা-ও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতীক হিসাবে পদ্মকে বেছে নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক সামনে এসেছে। প্রতীক হিসাবে কেন বাঘ বা ময়ূর ব্যবহার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। যদিও কেন্দ্র সরকারের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।