সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি পদেও চমক বিজেপির। এনডিএ (NDA) মনোনীত উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শনিবার দলের সংসদীয় বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। ইতিমধ্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, গত দু’দিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করেন ধনকড়। তখনই এনডিএ মনোনীত উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জল্পনা করা হচ্ছিল। শনিবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল। রবিবার বিরোধী শিবিরের বৈঠক শেষে উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য কার নাম ঘোষণা করা হয়, সেটাই দেখার।
সূত্রের খবর, আগামী ১৯ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন কৃষক পরিবারের সন্তান জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। অঙ্কের বিচারে তাঁর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। হিসেব বলছে, উপরাষ্ট্রপতি পদে পদ্মশিবিরের প্রার্থীকে জেতাতে ৩৯০টি ভোট প্রয়োজন। এদিকে বিজেপির নিজের হাতে ৩৯৪টি ভোট রয়েছে। ফলে ধনকড় যে ভারতের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তে সাপে কামড়ানো শিশুর মৃত্যু, বালুরঘাট হাসপাতালে ধুন্ধুমার]
ধনকড়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি টুইটারে লেখেন, “সংবিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ জগদীপ ধনকড়। সংসদীয় বিষয় সম্পর্কেও যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে তাঁর। আমি বিশ্বাস করি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের উপযুক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।”
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের কৃষক পরিবারের সন্তান আইনজ্ঞ জগদীপ ধনকড়। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদও বটে। ১৯৯০ সালে সংসদীয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের কিষাণগড়ের বিধায়ক ছিলেন। এমনকী, জয়পুরের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময় ২০০৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন কৃষক পরিবারের সদস্য ধনকড়। এরপর ২০১৯ সালে তাঁকে বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
[আরও পড়ুন: একুশে জুলাই মমতার ভাষণ শোনানো হবে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও]
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য – প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। কখনও টুইট আবার কখনও চিঠি পাঠিয়ে নবান্নের বিরিদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। দু’পক্ষের অসন্তোষের জেরে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতাও খর্ব করেছে রাজ্য সরকার। তবে সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। মমতা নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন। দার্জিলিংয়ে দু’জনের দেখা সাক্ষাৎ এমনকী কথাও হয়।
এরপরই প্রায় গোপনে দিল্লি সফরে যান ধনকড়। পরপর দু’দিন শাহ এবং মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন তিনি। এরপরই বড় চমক দিল বিজেপি। এরপর বাংলার রাজ্যপাল পদের দায়িত্ব কার হাতে সঁপে কেন্দ্র, সেটাই এখন দেখার।