সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভরা জনসভায় ‘সাম্প্রদায়িক’ মন্তব্য করে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এআইএমআইএমের রাজ্য সভাপতি শওকত আলি। মুসলিমরা একাধিক বিয়ে করলেও স্ত্রীদের সম্মান দিতে জানে। হিন্দুরা একটা বিয়ে করে তিনটে রক্ষিতা রাখে! হিন্দু ও মুসলিমদের বিবাহ নিয়ে তাঁর এহেন ধারণার জেরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক সভায় শওকত আলি বলেন, “লোকে বলে আমাদের তিনটে করে বিয়ে। আমাদের দু’টো বিয়ে হলেও আমরা প্রত্যেক স্ত্রীকেই সমাজে সমান সম্মান দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা (হিন্দুরা) একজনকে বিয়ে করেন আর তিনজন রক্ষিতা রাখেন। স্ত্রীকেও সম্মান দেন না, ওই রক্ষিতাদেরও নয়। কিন্তু আমরা দুটো বিয়ে করলেও দু’জনকেই একইরকম গুরুত্ব দিই এবং সব সন্তানের নামের রেশন কার্ডও থাকে।” স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এহেন মন্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
[আরও পড়ুন: ২০২১ সালে দেশে দৈনিক আত্মহত্যা করেছেন ৩০ জন কৃষক ও ক্ষেতমজুর! রিপোর্ট কেন্দ্রের]
হিন্দু বিবাহের পাশাপাশি হিজাব বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন শওকত আলি। তাঁর দাবি, এই দেশে কে কী পোশাক পরবে, সেই সিদ্ধান্ত হিন্দুরা নেবে না। সংবিধান নেবে। শওকতের কথায়, “এই ধরনের বিষয়গুলি সামনে এনে দেশকে দ্বিধাবিভক্ত করার কাজ করে চলেছে বিজেপি। কিন্তু কে কোন পোশাক পরবে, তা হিন্দুত্ববাদীরা ঠিক করতে পারে না।” প্রতি ক্ষেত্রে মুসলিমদেরই টার্গেট করা হয় বলেও অভিযোগ শওকতের। মাদ্রাসা থেকে হিজাব ইস্যু- প্রত্যেক সময় মুসলিমদেরই নিশানা করা হয়। কারণ তারা সহজ টার্গেট। বিজেপি দুর্বল হয়ে পড়লেই এই ইস্যুগুলোকে বেশি করে তুলে ধরে।
উল্লেখ্য়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও। মুসলিমরা মেয়েদের জোর করে হিজাব পরতে বাধ্য করে না বলেই দাবি তাঁর। পাশাপাশি হিজাব দিয়ে মাথা ঢাকার অর্থ মস্তিষ্ককে চেপে রাখা নয়, এমনটাই মনে করেন ওয়েইসি। দেশের অগ্রগতিতে মুসলিম মেয়েদের অবদানও কম নয়, এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি জানালেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে একদিন হিজাব পরা কোনও মহিলাকেই দেখতে চান তিনি।