shono
Advertisement

ভিন্দ্রেনওয়ালের অনুগামী, পাঞ্জাবের ‘ওয়ারিস’! খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং আসলে কে?

মাত্র ৩০ বছর বয়সে কীভাবে পাঞ্জাবের ত্রাস হয়ে উঠলেন ভিন্দ্রেনওয়ালের উত্তরসূরি?
Posted: 05:46 PM Mar 18, 2023Updated: 05:46 PM Mar 18, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ডাকে জড়ো হয় হাজার হাজার যুবক। সশস্ত্র অনুগামীদের ছাড়া বাইরে বেরোতে দেখা যায় না তাঁকে। এক ডাকে পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারেন তিনি। বস্তুত, স্বাধীনতা-উত্তর পাঞ্চাব বরাবর অশান্ত হয়েছে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা খলিস্তানিদের (Khalistan) উৎপাতে। সেই খলিস্তানিদের সর্বশেষ ‘পোস্টার বয়’ হয়ে উঠেছিলেন অমৃতপাল সিং। শনিবার রুদ্ধশ্বাস অপারেশনে সেই অমৃতপালকে আটক করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।

Advertisement

কিন্তু কে এই অমৃতপাল? বয়স মাত্র ৩০ বছর। আর এই বয়সেই পাঞ্জাব সরকারের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন এই ছিপছিপে যুবক। অমৃতপাল স্বঘোষিত খলিস্তানি নেতা। ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ নামের একটি সংগঠন চালান অমৃতপাল। এই সংগঠনটি তৈরি করেছিলেন পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু। যার নেতৃত্বে বছর দুই আগে ২৬ জানুয়ারিতে লালকেল্লায় নিশান সাহিব উড়েছিল। গতবছর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় দীপ সিধুর। তারপর তাঁর সংগঠনের দায়িত্ব যায় অমৃতপালের হাতে।

[আরও পড়ুন: আদালতের পথে ইমরান খানের কনভয়ে দুর্ঘটনা, ছড়াল চাঞ্চল্য]

প্রথম দিকে সংগঠনটি বঞ্চনার বিরুদ্ধে পঞ্জাবের জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়ার কথা বলত। কিন্তু অমৃতপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠনের কার্যকলাপ চরমপন্থী এবং হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। অমৃতপাল নিজে শয়ে শয়ে অনুগামীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো শুরু করেন। যাদের মধ্যে অনেকেই আধুনিক অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে, বা নিষিদ্ধ পোস্টারের মাধ্যমে ‘বিচ্ছিন্নতা’বাদের প্রচার করেন অমৃতপাল। যা কার্যত দেশদ্রোহের শামিল। অথচ পাঞ্জাবের আপ (AAP) সরকার এতদিন অমৃতপালের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পাঞ্জাবের যুবসমাজে এতটাই তাঁর প্রভাব যে তাঁকে গ্রেপ্তার করার মতো পদক্ষেপ করতে ভয় পাচ্ছিলেন ভগবন্ত মান (Bhagwant Maan)। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিরোধীদের চাপে শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পাঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police)।

[আরও পড়ুন: আসানসোল কম্বল কাণ্ড: নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার BJP নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি]

আসলে দুবাই ফেরত অমৃতপাল প্রকাশ্যেই নিজেকে খলিস্তানি নেতা ভিন্দ্রেনওয়ালের অনুগামী বলে পরিচয় দেন। নিজেকে খলিস্তানি বলতে গর্ববোধ করেন তিনি। ভিন্দ্রানওয়ালের মতোই সামরিক পোশাক পরেন অমৃতপাল। এমনকী, দীপ সিধুর সংগঠনের দায়িত্বও তিনি ভিন্দ্রেনওয়ালের গ্রাম থেকেই নেন। অমৃতপাল যেভাবে নিজেকে প্রকাশ্যে ভিন্দ্রেনওয়ালের উত্তরাধিকারী বলে দাবি করতেন, এবং যেভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘুরতেন, তাতে অনেকেরই পাঞ্জাবের সেই ভয়ংকর দিন মনে পড়ে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement