সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যা করার জন্যই সেদিন রেললাইনের উপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন মহিলা চালক! হায়দরাবাদের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। গত ২৬ জুন হায়দরাবাদের এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় রেল লাইনে গাড়ি চালানোর ভিডিও।
ওই মহিলার মা-বাবা জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করত। গত দু’মাস আগে চাকরি হারায় মেয়ে। তাছাড়া বিবাহবিচ্ছেদ মামলাও চলছিল তাঁর। এই দুইয়ের চাপে মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তাছাড়া আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাঁকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ভোমিকা সোনি লখনওয়ের বাসিন্দা। গত ২৬ জুন শঙ্করপল্লি থেকে হায়দরাবাদ পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রেললাইনে গাড়ি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি সাদা গাড়ি রেললাইন ধরে চলছে। বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রেলকর্মীদের মধ্যে। কাণ্ড দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়রাও। তাঁরা গিয়ে কোনওক্রমে গাড়িটি থামান। যদিও বছর চৌত্রিশের যুবতীকে কিছুতেই গাড়ি থেকে বের করা যাচ্ছিল না। এমনকী ওই যুবতী গাড়িটিকে রেলের ট্রাক থেকে সরাতেও রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত জোর খাটাতে হয়। কোনওরকমে টেনেহিঁচড়ে, হাত বেঁধে গাড়ি থেকে নামিয়ে মহিলাকে চ্যাংদোলা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। পরে সরানো হয় গাড়িটিকেও। এদিকে এই ঘটনার জেরে প্রায় ১৫টি ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সমস্যায় পড়েন শতাধিক যাত্রী।
এরপরেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই যুবতীকে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে শেভেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হায়দরাবাদ ওসমানিয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তাঁকে ইয়েরগাড্ডা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবতীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ভারতীয় রেলওয়ে আইনের ১৫৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
