সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাপের বাড়িতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেন স্বামী। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর ধরন নিয়ে সংশয় ছিল যুবতীর মনে। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের কাছে সেই সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। অভিযোগ, এই ‘অপরাধে’ মধ্যযুগীয় অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপরে। যুবতীর মুখে কালো কালি মাখিয়ে, গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ননদ। এছাড়াও শ্বশুরবাড়ির অন্য আত্মীয় ও প্রতিবেশী মহিলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারির এই ঘটনা নাসিক (Nasik) থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরের, চান্দওয়াড় তালুকের শিবরে গ্রামের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক’দিন আগে পথদুর্ঘনায় আহত হন যুবতী। অসুস্থ থাকায় স্বামী তাঁকে বাপের বাড়িতে রেখে আসেন। পরে দু’বার স্বামী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন সেখানে। এর ক’দিন পরে আচমকা যুবতীকে তাঁর ননদ ফোনে জানান স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। এক পুলিশকর্তা জানান, ৩০ জানুয়ারি ছিল স্বামীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান। সেদিনই তিনি শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সামনে স্বামীর মৃত্যু নিয়ে নিজের সংশয়ের কথা জানান। এতেই বেজায় ক্ষেপে ওঠে ননদ।
[আরও পড়ুন: PM Cares Fund সেবামূলক তহবিল, RTI প্রযোজ্য নয়, ফের দিল্লি হাই কোর্টকে জানাল কেন্দ্র]
এর পরে ননদ এবং গ্রামের বেশকিছু মহিলা যুবতীর উপর মধ্যযুগীয় অত্যাচার চালায়। যুবতীর মুখে কালি মাখিয়ে, গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয় তাঁকে। অত্যাচারের খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায় গ্রামে। পুলিশকর্মীরা উদ্ধার করেন যুবতীকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারির খবর নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘মোদির নিন্দা করতে BBCকে টাকা দিয়েছে চিন’, তথ্যচিত্র বিতর্কে দাবি বিজেপি নেতার]
প্রসঙ্গত, দেশে মহিলাদের উপর সংঘটিত অপরাধের অন্ত নেই। এমন মধ্যযুগীয় অত্যাচারের পাশাপাশি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা অব্যাহত। এদিনই বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) চরম বর্বরতার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রেমিকার তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যুবক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পকসো-সহ (POCSO) একাধিক ধারায় মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা কর্ণাটক (Karnataka)।