সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই মতো বয়কট করা টেলিভিশন সঞ্চালকদের তালিকা প্রকাশ করল ইন্ডিয়া জোট। জাতীয় সংবাদমাধ্যমের মোট ১৪ জন সঞ্চালকের অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী শিবির।
ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের প্রথম সমন্বয় বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল কিছু কিছু টেলিভিশন শো’র সঞ্চালকদের বয়কট করা হবে। ‘টিম ইন্ডিয়া’র বক্তব্য, এই সঞ্চালকরা একপেশেভাবে খবর পরিবেশন করেন এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনে উসকানি দেন। এমনিতে কংগ্রেস (Congress) আগেই একাধিক সঞ্চালককে বয়কট করেছিল। এবার সামগ্রিক ভাবে ইন্ডিয়া জোটই মোট ১৪ জন সঞ্চালককে বয়কট করল।
[আরও পড়ুন: মাদ্রিদের হোটেলে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌরভের, শুক্রবারের শিল্প সম্মেলনে ‘দিদি’র সঙ্গী ‘দাদা’]
কোন কোন টেলিভিশন সঞ্চালককে বয়কট করা হবে, সেটা ঠিক করার ভার দেওয়া হয় ইন্ডিয়া জোটের প্রচার কমিটিকে। সেই কমিটির সদস্য পবন খেরা বৃহস্পতিবার ওই ১৪ জন সঞ্চালকের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন অর্ণব গোস্বামী (Arnab Goswami), আমিশ দেবগন, সুধীর চৌধুরী, চিত্রা ত্রিপাঠী, নাবিকা কুমার, সুশান্ত সিনহা, রুবিকা লিয়াকত, গৌরব সাওয়ান্ত, প্রাচি পরাসর, শিব অরুর, অশোক স্ত্রীবাস্তব।
[আরও পড়ুন: ‘আমার একার কাঁধেই সব দায়িত্ব ছিল না’, এশিয়া কাপের ব্যর্থতার দায় নিতে নারাজ শাকিব]
ইন্ডিয়া জোটের এই সঞ্চালকদের বয়কট করা নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) সোশাল মিডিয়ায় কংগ্রেসকে বিঁধে বলেছেন,”কংগ্রেসের ইতিহাসেই রয়েছে সংবাদমাধ্যমকে অবজ্ঞা করা। পণ্ডিত নেহেরুও এভাবেই সেইসব সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছিলেন, যারা তাঁর সমালোচনা করত। আর এ ব্যাপারে ইন্দিরা গান্ধী তো স্বর্ণপদকজয়ী। রাজীব গান্ধী আবার সংবাদমাধ্যমকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নেন। আর সোনিয়ার আমলেও পছন্দ না হলে সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষিদ্ধ করা হত।”