সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে কাশ্মীরি পণ্ডিত নিধনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯০-এর জানুয়ারি মাসে শ্রীনগরে বায়ুসেনা আধিকারিকদের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ। কাশ্মীর উপত্যকায় দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ। এ হেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক বলছেন, তিনি নাকি গান্ধীবাদী।
ইয়াসিনের সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে (JKLF) আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় জোর ধরপাকড় শুরু করে ভারতীয় সেনা। তখনই ইয়াসিন মালিক-সহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জঙ্গিযোগের প্রমাণ সামনে আসে। উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে ইয়াসিন মালিককে গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। ২০২০-এর মার্চে মালিক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে টাডা ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। অভিযোগপত্রে সাফ বলা হয়, ১৯৯০-এর জানুয়ারি মাসে শ্রীনগরে বায়ুসেনা আধিকারিকদের হামলায় জড়িত ছিল তারা। জেকেএলএফের প্রধানকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেয় এনআইএ-র বিশেষ আদালত।
আপাতত ইউএপিএ মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজা কাটাচ্ছেন ইয়াসিন। নিজের সাজার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন 'জঙ্গি নেতা'। সেখানেই তিনি দাবি করছেন, 'অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছি, আমি এখন গান্ধীবাদী।' ইউএপিএ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া হলফনামায় ইয়াসিন বলেন, "১৯৯৪ সালেই আমি অস্ত্র ছেড়েছি। ৩ দশক হয়ে গেল। আমি এখন গান্ধীবাদী।" ইয়াসিনের বক্তব্য, "ঐক্যবদ্ধ কাশ্মীরের স্বার্থেই আন্দোলন করছি। তবে সেটা অহিংসার পথে।"
বহুদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম চালানোর ও তা প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik) বিরুদ্ধে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। তিনিই কিনা এখন বলছেন, 'আমি গান্ধীবাদী।'