সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের আর বাকি নেই এক মাসও। ভোটরঙ্গে সরগরম উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। ইতিমধ্যেই বিজেপির (BJP) একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক দল ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই যতটা সহজ মনে হচ্ছিল যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) প্রত্যাবর্তন, এখন আর ততটা নিশ্চিত থাকতে পারছে না ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার যোগীকে বিঁধলেন সমাজবাদী সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)।
আসলে যোগী আদিত্যনাথ চেয়েছিলেন অযোধ্যা থেকে ভোটে দাঁড়াতে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় অযোধ্যা নয়, তিনি গোরক্ষপুর থেকে দাঁড়াবেন। এই ঘটনার উল্লেখ করে কটাক্ষ করেন অখিলেশ। তিনি বলেন, যোগী এমন এক মুখ্যমন্ত্রী, তিনি যেখান থেকে দাঁড়াতে চান, সেখান থেকে টিকিট পান না। এরপর তিনি বলেন, ‘‘আসলে সাধুসন্ন্যাসীরা বলে দিয়েছিল, উনি ফৈজাবাদে (অযোধ্যার পূর্ব নাম) এলে ওঁকে ফেয়ারওয়েল দেওয়া হবে। বিজেপি তো তাঁকে এরই মধ্যে বিদায় জানিয়ে ফেলেছে গোরক্ষপুরে পাঠিয়ে।’’
[আরও পড়ুন: TMC in Goa: গোয়ায় জোটের প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল, এখনও জবাব দেয়নি কংগ্রেস! নতুন দাবি মহুয়ার]
সেই সঙ্গেই বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’কেও খোঁচা মারতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি দিল্লিওয়ালা ও লখনউওয়ালারা চাইছেন নিজের নিজের ইঞ্জিনের চাকা খুলে ফেলতে।’’
এদিকে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক দলত্যাগীর অস্বস্তির মধ্যেই পালটা মার দিয়েছে বিজেপিও। জানা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন সপার ‘মার্গদর্শক’ মুলায়ম সিং যাদবের (Mulayam Singh Yadav) পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন অপর্ণা। অপর্ণার এই সম্ভাব্য যোগদান উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জন্য অক্সিজেনের কাজ করতে পারে। কারণ একের পর এক দলিত নেতার দলত্যাগের ফলে রাজ্যবাসীর কাছে যে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে, তা অনেকটা বদলে দেওয়া যাবে। আবার খোদ নিজের পরিবারে ভাঙন অখিলেশের ভাবমূর্তিতেও ধাক্কা দেবে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ।
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে বাদ বাংলার ট্যাবলো: সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হোক, মোদিকে চিঠি মমতার]
উত্তরপ্রদেশের মতোই পাঞ্জাবেও জমে উঠেছে নির্বাচনী বিতর্ক। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী চান্নির ভাইয়েরই টিকিট না পাওয়া নিয়ে সরগরম রাজ্য। এদিকে কংগ্রেসের পরে ভোট পিছনোর দাবি জানিয়েছে বিজেপিও। নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই নজর সকলের।