সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংস খুন। পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হল মাথা। জঙ্গলের মধ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে শিশুর নগ্ন দেহ। শুক্রবার ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার বারগড় জেলায়। এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে প্রশান্ত বারিহা নামে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বারগড় জেলার পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মিনা বলেন, মহুলপালিতে নির্যাতিতার পরিবারের একটি ফার্মে শ্রমিকের কাজ করত অভিযুক্ত। ঘটনার দিন দুপুরে মাছ ধরতে যাবে বলে তিন শিশুকে সঙ্গে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এর পর দুজনকে বাড়ি চলে যেতে বলে সে। এর পর বছর চারেকের শিশুটিকে একা পেয়ে জঙ্গলের মধ্যে ধর্ষণ করে ও পাথর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে খুন করে। ভয়ংকর এই কাণ্ড ঘটানোর পর এলাকা ছেড়ে পালায় বছর কুড়ির ওই যুবক। এদিকে কোনও মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পরিবার। এরই মাঝে বাড়িতে ফিরে আসে অভিযুক্ত প্রশান্ত।
তার কাছে মেয়ে কোথায় জানতে চাওয়ায় প্রথমে কিছু জানে না বলে জানালেও, পরে চাপের মুখে সব কথা স্বীকার করে নেয়। এবং যেখানে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে সেটাও জানায়। মৃতার পরিবার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে রাতেই জঙ্গলের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুর নগ্ন দেহ।পদমপুরের এসডিপিও বিবি ভই জানান, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যে পাথর দিয়ে খুন করা হয়েছে সেটাও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অতীতে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা হয়েছিল যুবকের। যার জেরে এই ঘটনা ঘটায় সে। নিহত শিশুর রক্তের সঙ্গে অভিযুক্তের জামায় লাগা রক্তের নমুনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।