সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’বছর পর ফিরল গালওয়ানের স্মৃতি। এবার অরুণাচলের তাওয়াংয়ে সংঘর্ষে জড়াল ভারত ও চিনের সেনা। সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াং এলাকার এই সংঘর্ষে জখম অন্তত ২০-৩০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনার দাবি, ভারতের তুলনায় চিনের লালফৌজের বেশি সংখ্যক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে সরকারিভাবে দু’তরফের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বরাবর অরুণাচলের একাংশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চিন। বারবার এই অংশে সংর্ঘষে জড়ায় ভারত ও চিনের সেনা। ৯ ডিসেম্বর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ফের। কীভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংঘর্ষের সময় তাওয়াংয়ের ইয়াংসে এলাকায় লালফৌজের ছ’শোর বেশি জওয়ান উপস্থিত ছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের জেরে অন্তত বহু ভারতীয় সেনার হাড় ভেঙেছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটির হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ১২ ডিসেম্বর পার, ফাঁকা বুলিই সার! এবার শুভেন্দুর মুখে ‘জানুয়ারি তত্ত্ব’]
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে অক্টোবর মাসেও একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বহু সংখ্যক চিনা সেনা।সেই সময়ও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তবে সেবার এত মারাত্মক আকার নেয়নি সংঘর্ষ। এবার দু’পক্ষের মধ্য়ে জোরদার সংঘর্ষ বাঁধে বলেই সূত্রের খবর।
২০২০ সালের ১৫ জুন সংঘর্ষ শুরু হয় একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ ঘিরে। পালটা সীমান্তে ‘বাফার জোন’ নির্মাণের কাজ শুর করে চিন। ৬ জুন ৮০ জন পিএলএ (PLA) সৈন্য ভারতের নির্মিত সেতুটি ভেঙে ফেলতে আসে। যদিও সেই সময় আলোচনার মাধ্যমে একরকম সমাধান হয়। ঠিক হয় ‘বাফার জোন’ অতিক্রম করে চিনা সেনা ফিরে যাবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি চিন।
[আরও পড়ুন: ‘মেরে ফেলা হয়নি তো?’, লালন শেখের মৃত্যুতে প্রশ্ন কুণালের, তদন্তের দাবি সুকান্তের]
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ১৫ জুন বিতর্কিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান কর্নেল সন্তোষবাবু ও তাঁর দল। যেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল কর্নেল কি ফ্যাবাওয়ের নেতৃত্বে চিনা সেনা। ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, আচমকাই ফ্যাবাওয়ে ভারতীয় সেনাকে আক্রমণের নির্দেশ দেয় নিজের ফৌজকে। সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাবাওয়েকে আটক করে ভারতীয় সেনা। কর্নেলকে বাঁচাতে পিএলএ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার চেন হংজুন এবং সৈনিক চেন জিয়াংরং ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতে জড়ান। এই সময়েই স্টিলের পাইপ, কাঁটা লাগানো লাঠি দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় চিনা সেনা।