সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দশেক আগেই শত্রুর বুকে ভয় ধরিয়ে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি ৪ ব্যালেস্টিক মিশাইলের (Agni-IV ballistic missile) সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বুধবার পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম পৃথ্বীর ২ (Prithvi II) মিশাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল সেনা। এদিন ওড়িশার (Odisha) চন্দ্রপুরে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণ হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে ও চিনের সঙ্গে সীমান্ত অশান্তির মধ্যে এই উৎক্ষেপণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ওড়িশার চন্দ্রপুরে বুধবার সন্ধে ৭টা বেজে ৩০ মিনিটে স্বল্প পাল্লার পৃথ্বী ২ মিশাইলের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি। প্রযুক্তিগত যাবতীয় ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে পৃথ্বীর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। উল্লেখ্য, পৃথ্বী ২ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র। ১ টন ভারবহনে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ পাল্লা ২৫০ কিলোমিটার।
[আরও পড়ুন: এবার জরায়ুর ক্যানসারের ভ্যাকসিন ভারতেই! সরকারি ছাড়পত্র সেরাম ইনস্টিটিউটকে]
উল্লেখ্য, ৬ জুনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি ৪ ব্যালেস্টিক মিশাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় সেনা। ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় ক্ষেপণাস্ত্রটির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, অগ্নি চারের উৎক্ষেপণ সমস্ত অপারেশনাল প্যারামিটার তথা প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতাকে সফল ভাবে যাচাই করেছে। অগ্নি ৪-এর সর্বোচ্চ পাল্লা ৪ হাজার কিলোমিটার। উল্লেখ্য, গতবছর অগ্নি প্রাইম মিশাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। সেই পরীক্ষাও হয় ওড়িশা উপকূলে। সেটিও ছিল পরমাণু অস্ত্র বহন সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। পাল্লা ছিল ১ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার অবধি।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত পেরিয়ে গেল ১২ হাজার, চিন্তা বাড়াচ্ছে পজিটিভিটি রেট]
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে কিছুদিন আগেই অত্যাধুনিক ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের (BrahMos Cruise Missile) সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারতীয় নৌসেনা ও বিমানবাহিনী। দু’টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করা হয় আন্দামান ও নিকোবর সংলগ্ন জলরাশিতে। নৌসেনা জানিয়েছিল, যুদ্ধজাহাজ আইএনএস দিল্লি (INS Delhi) থেকে একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছোঁড়া হয়। উৎক্ষেপণের পর পূর্বনির্ধারিত গতিপথ মোতাবেক একটি বাতিল জাহাজে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি। অত্যাধুনিক ওই হাতিয়ারের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে লক্ষ্যবস্তুটিতে অর্থাৎ জাহাজটির দেহে বিরাট গর্ত তৈরি হয়।