সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হ্যারি পটার। বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের ক্যাচলাইন ধার করে বলা যায় ‘সির্ফ নাম হি কাফি হ্যায়।’ হগওয়ার্টস স্কুলের পড়ুয়া থেকে ক্রমশ জাদু দুনিয়ার নায়ক হয়ে ওঠা হ্যারির জাদু আজও অব্যাহত। জে কে রাওলিংয়ের লেখা পটার সিরিজের বইগুলো প্রকাশিত হওয়ার সময় কী উন্মাদনা সৃষ্টি হত তা অনেকেরই স্মৃতিতে রয়েছে। সেরকমই একসময়ে কেরলের এক কিশোর বইয়ের দোকান থেকে চুরি করেছিল পটার সিরিজের শেষ বই 'দ্য ডেথলি হ্যালোজ'। এতদিন পরে তা দোকানে গিয়ে ফেরত দিলেন তিনি। যে খবর পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বয়ং রাউলিং।
সেটা ২০০৭ সালের জুন। রিস থমাস হ্যারি পটারের ছটা উপন্যাসই পড়ে ফেলেছিল। গোটা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ পটারহেডদের মতো সেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল সিরিজের শেষ বইয়ের। ভল্ডেমর্ট বনাম হ্যারিদের লড়াই কোন বিন্দুতে গড়ায় তা জানতে তখন উদগ্রীব সকলে। সেই দলেই ছিল থমাসও। কিন্তু তার পকেটে অর্থ ছিল না। বাড়িতেও চাইলে টাকা মিলবে না। এই পরিস্থিতিতে দোকান থেকে বইটি চুরি করে সে।
[আরও পড়ুন: ‘৯০ দিন ভুগতে হয়েছে’, কেজরিকে অন্তর্বর্তী জামিন সুপ্রিম কোর্টের, তবে এখনই নয় জেলমুক্তি]
এর পর কেটে গিয়েছে সতেরোটা বছর। ক্লাস নাইনের থমাস এখন পরিপূর্ণ যুবক। তিনি নিজেও '৯০'স কিড' নামে একটি বই লিখেছেন। এদিকে কর্মক্ষেত্রেও তিনি ব্যস্ত চাকুরে। অবশেষে 'নিউ কলেজ বুক স্টল' নামের সেই দোকানে তিনি হাজির হয়েছিলেন। দোকানদার এমন ঘটনার কথা জেনে অবাক হয়ে যান। থমাস বইটা নতুন করে কিনতে চাইলে তিনি সেটা তাঁকে উপহার হিসেবেই দিয়ে দেন। ক্যাথলিক পরিবারের সন্তান থমাসের অনর্গল বিবেক দংশন হয়েছিল বই চুরির সময়। কিন্তু তিনি জানাচ্ছেন, বন্ধুদের উস্কানি এবং পটারম্যানিয়ার তীব্রতায় তিনি তা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
আর এই অভিনব ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জে কে রাউলিংও (JK Rowling)। নিজের এক্স হ্যান্ডলে সেটি শেয়ার করে অবশ্য পটার স্রষ্টা সকলকে সতর্ক করে লিখেছেন, 'আমি জানি এর ফলে আমাকে বই চুরিতে উৎসাহ দেওয়ায় অভিযুক্ত করা হবে। তাই দয়া করে কেউই বই চুরি করবেন না। বই চুরি করা খুব খারাপ। যাই হোক, এটাই আজকের সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার, যেটা আমার দিনটাকেই সুন্দর করে তুলল।'
[আরও পড়ুন: সোহমের চড় কাণ্ডে টেকনো সিটি থানার IC-কে শোকজ]
স্বয়ং স্রষ্টার প্রতিক্রিয়া পেয়ে আপ্লুত থমাসও। তিনিও সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'বহু বছর আগে আমি একটা কীর্তি করেছিলাম। যেটা আজ গোটা বিশ্ব জেনে গেল। সবচেয়ে বড় কথা, এটা তাঁর কাছেও পৌঁছেছে... এক এবং একমাত্র জে কে রাউলিং, মাস্টারপিস হ্যারি পটারের (Harry Potter) লেখিকা। তিনিও আমার গল্পটা জানেন। এটাই আমাদর দিনটাকে সুন্দর করে তুলল।'