সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দামান সাগরে মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে বাজেয়াপ্ত ৬ হাজার কেজির নিষিদ্ধ মাদক! উপকূলরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় বঙ্গোপসাগরে প্রথমবার এত বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত হল। এই ঘটনায় ট্রলারের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা সকলেই মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে। জানানো হয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর নিয়মমাফিক টহলদারি চালাচ্ছিল উপকূলরক্ষীবাহিনীর বিমান। সেই সময় বারেন দ্বীপের কাছে মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার দেখে সন্দেহ হয় পাইলটের। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে এই বারেন দ্বীপ। সেখানে সন্দেহজনক ওই ট্রলারে তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। তখনই উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ মাদক। জানা গিয়েছে, দুই কেজি করে ওজনের ৩ হাজার প্যাকেট ‘মেথাফেটামাইন’ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে এর বাজার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা।
আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ট্রলারে থাকা ৬ জন নাগরিককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তী তদন্তের জন্য মাদকবহনকারী ট্রলারটি গত রবিবার পোর্টব্লেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা চলছে কোথা থেকে আনা হয়েছিল এই মাদক, এবং কোথায় তা পাচারের পরিকল্পনা ছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ভারত-সহ উপকূলবর্তী একাধিক দেশে এই মাদক পাচারের ছক ছিল অভিযুক্তদের।
উল্লেখ্য, জলপথে এভাবে মাদক পাচারের অবশ্য প্রথমবার নয়। এই ধরনের পাচারে মূলত জলপথকেই ব্যবহার করে পাচারকারীরা। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যে নৌকা বা জাহাজ নামে, সেগুলিকে ব্যবহার করে চলে মাদক পাচার চক্র। ২০১৯ এবং ২০২২ সালেও বিদেশি ট্রলার থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে বঙ্গোপসাগরে কোনও মাছ ধরার ট্রলারে এত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম।